মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশী আহত
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সীমান্তে একের পর এক গুলি চালিয়ে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:-ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সীমান্তে একের পর এক গুলি চালিয়ে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে। দুইটি লাশের জন্য অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার রাতে মহেশপুরের পেপুলবাড়িয়া গ্রামের ইছামতি নদীর তীরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ আবারো গুলি চালিয়েছে।
এ ঘটনায় রিয়াজ হোসেন (২৩) নামে এক বাংলাদেশীর শরীর ঝাজরা হয়ে গেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে জীবননগর হাসপাতাল থেকে যশোর ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিয়াজ মহেশপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিউদ্দীনের ছেলে।রিয়াজের চাচাতো ভাই সুমন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াজ সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের নদীয়া জেলার হাসখালী থানার ফতেপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি চালায়। গুলিতে রিয়াজ গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ইমন হোসেন বলেন, রিয়াজের শরীর থেকে ছররা গুলির কিছু অংশ বের করা হয়েছে। তবে একটি গুলি কিডনির পাশ দিয়ে ঢুকে গেছে। যশোরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুরের কুসুমপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আবুল হাসান জানান, রিয়াজ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন খবর তার কাছে নেই। এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগও করেনি। বিজিবি সীমান্তে এখনো টহলরত রয়েছে। তবে রিয়াজ নামে একজন আছে, যে তালিকাভুক্ত চোরাকারবারী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
বিজিবি তাকে খুজছে বলেও তিনি জানান।মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম শুক্রবার দুপুরে বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলে বিজিবির টহলদলকে পাঠানো হয়, কিন্তু তাদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।এর আগে গত ৮ এপ্রিল মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশী যুবককে হত্যা করে ইছামিত নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। ২৪ দিন পার হলেও তার লাশ এখনো বিএসএফ ফেরৎ দেয়নি। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।