নওগাঁর ঐতিহাসিক বৌদ্ধ বিহারের দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়কের জমি সড়ক বিভাগকে হস্তান্তর

নওগাঁর ইউনেস্কো স্বীকৃত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নিদর্শন, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পর্যটকদের সুরক্ষিত ভ্রমণের জন্য আরও আধুনিক পথে এগোচ্ছে।

নওগাঁর ঐতিহাসিক বৌদ্ধ বিহারের দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়কের জমি সড়ক বিভাগকে হস্তান্তর

এ.বি.এস রতন স্টাফ রিপোর্টার :নওগাঁর ইউনেস্কো স্বীকৃত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নিদর্শন, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পর্যটকদের সুরক্ষিত ভ্রমণের জন্য আরও আধুনিক পথে এগোচ্ছে।

ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়কের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি জেলা প্রশাসকের হতে সড়ক বিভাগের নিকট হস্তান্তরের মাধ্যমে এর শুভ সূচনা হয়।

মঙ্গলবার ২৮ শে অক্টোবর দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাইমিনুল ইসলাম মামুন নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল হককে সড়ক নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু এবং জমির মালিকরা।

কর্মকর্তারা জানান, ১৫শ বছরের পুরনো এই ঐতিহাসিক নিদর্শনে পৌঁছাতে পর্যটকদের এখনো ঝুঁকিপূর্ণ, সরু রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। নতুন সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সহজে বিহারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল হক বলেন,"এই সড়ক নির্মাণ প্রকল্প শুধু ভ্রমণ সহজ করবে না, বরং পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের সঙ্গে সংযুক্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে আরও বিকশিত করবে। আমরা চাই দেশ-বিদেশের মানুষরা এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি নিরাপদ ও সুবিধাজনকভাবে দেখতে আসুক।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নওগাঁর পর্যটন খাত নতুন মাত্রা পাবে। নতুন সড়কটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আধুনিক অবকাঠামোর এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটাবে, যা দেশের পর্যটন মানচিত্রে পাহাড়পুরকে বিশেষভাবে স্থান দেবে।