ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ হারালে আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে-ধর্ম উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সরকার জাতির জন্য হাতে হাত ধরার, বুকে বুক মেলানোর সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ যদি হাতছাড়া করি আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সরকার জাতির জন্য হাতে হাত ধরার, বুকে বুক মেলানোর সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ যদি হাতছাড়া করি আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, নারীদের পেছনে রেখে আমরা পুরুষরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব না। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে নিবরাস মাদরাসা আয়োজিত ‘হিফজুল কোরআন অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, আমরা একটা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি; ভেদাভেদ আর নয়। আমাদের একে অপরের হাত ধরে সামনের দিকে এগোতে হবে। আমরা মানুষকে সম্মান করতে শিখি।
আমি যদি অন্যকে সম্মান না করি তার কাছ থেকে আমি সম্মান আশা করতে পারি না। আমি যদি ঢিল ছুড়ি, পাটকেল খাওয়ার জন্য আমাকে অপেক্ষা করতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, থাকুক না। যুগে যুগে ছিল।কিন্তু আমাদের বিভেদ একটি জায়গায় গিয়ে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সেটি হলো কালেমা তাইয়েবা।
তিনি বলেন, এই জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সরকার জাতির জন্য সুযোগ এনে দিয়েছে, হাতে হাত ধরার, বুকে বুক মেলানোর। এই সুযোগ যদি হাতছাড়া করি—আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রাসুল (সা.) হজরত আয়েশাকে, হজরত খাদিজাকে নিয়ে এবং অন্যান্য সাহাবিয়াত যারা ছিলেন, উম্মাহাতুল মুমিনিন তাদের সঙ্গে নিয়ে সমাজ পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও আমরা আমাদের মা-বোনদের দেখেছি।
আমরা যে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে একটা কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি, এটা পূরণের ক্ষেত্রে নিবরাস মাদরাসা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের মা-বোনদের, কন্যাদের কোরআনের আলো দিতে পারি, হাফেজা-আলেমা-মুহাদ্দিসা কিংবা স্কলার বানাতে পারি; তাহলে তারা সমাজ, রাষ্ট্রের সব জায়গায় সর্বস্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।
অনুষ্ঠানে ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ। এর আগে মাদরাসাটির শিক্ষার্থীরা ইসলামী গান, কোরআন তিলাওয়াতসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন।
চাঁপাই প্রেস/সূত্র_কালের কণ্ঠ



