চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপারেশন ঈগল হান্ট মামলায়-সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান রিমান্ডে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও তৎকালীন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি মো. আসাদুজ্জামানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপারেশন ঈগল হান্ট মামলায়-সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান রিমান্ডে

বদিউজ্জামান রাজাবাবু স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জঙ্গিবিরোধী ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও তৎকালীন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি মো. আসাদুজ্জামানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরী এ আদেশ দেন। বিকেল ৩টার দিকে আসাদুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ এবং তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এছাড়া আসামিপক্ষও রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ বলেন, পুলিশ অফিসার ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মিলে যড়যন্ত্র করে শিবগঞ্জের একটি বাড়িতে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করে। জঙ্গি নাটকের ঘটনার সৃষ্টি করে আবুল কালাম আবু নামে এক মুদি দোকানিকে হত্যা করে। পরে হেলিকপ্টরে আরও তিনটি বস্তাবন্দি লাশ এনে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের পেটে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিস্ফোরণ ঘটায়। নৃশংস এ ঘটনার ৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। এই মামলায় সাবেক এসপি ও তৎকালীন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি আসাদুজ্জামানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,পুলিশ অফিসার ও পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা সদস্যরা মিলে যড়যন্ত্র করে আমার বাড়িতে বানোয়াটভাবে জঙ্গি নাটকের ঘটনা ঘটায়। আসামি সৈয়দ নুরুল ইসলামের (ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি) বাড়ি শিবগঞ্জ এলাকায়, সেই কারণে তাদের সাথে ষড়যন্ত্র করে আমার বাড়িতে জঙ্গি নাটকের ঘটনা সৃষ্টি করে আমার স্বামী আবুল কালাম আবুকে হত্যা করে। পরে আরও জানতে পারি যে, দুটি হেলিকপ্টার আমার বাড়ির সংলগ্নে ত্রীমোহনীতে নামে এবং আশপাশের লোকজনকে দূরে সরিয়ে দেয়। হেলিকপ্টর দুটির মধ্যে একটি থেকে তিনটি বস্তাবন্দি লাশ বের করে আমার বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়। অন্য হেলিকপ্টর থেকে উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে ৩/৪ জন বের হয় এবং পূর্বেই ত্রীমোহনীতে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭/৮ জন বস্তাবন্দি তিনটি লাশ নিয়ে আমার বাড়ির ভেতরে রেখে বের হয়ে আসে। ২৭ এপ্রিল দুপুরের পর আমার বাড়ির মধ্যে বিকট শব্দ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরবর্তীতে জঙ্গি নাটক সাজানোর জন্য বস্তাবন্দিযোগে হেলিকপ্টরে করে নিয়ে এসে তাদের পেটের মধ্যে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিস্ফোরণ ঘটায়।