দুমকীতে হাঁসের খামারে স্বপ্ন বুনছেন বাবা ও মেয়ে

কম পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় পটুয়াখালীর দুমকীতে হাঁস পালন করে এই পেশায় ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন মোশারেফ হোসেন মাঝি ও তার মেয়ে মারুফা আক্তার

দুমকীতে হাঁসের খামারে স্বপ্ন বুনছেন বাবা ও মেয়ে

‎মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কম পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় পটুয়াখালীর দুমকীতে হাঁস পালন করে এই পেশায় ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন মোশারেফ হোসেন মাঝি ও তার মেয়ে মারুফা আক্তার। 

‎তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না উল্লেখ করে তারা জানান, রোগ প্রতিরোধে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে অনেক টাকা খরচ হয় তাদের। সরকারি কোন সহায়তা পেলে ডিমের পাশাপাশি হাঁসের মাংসের দামও বেশি হওয়ায় অন্য জাতের হাঁস পালনের পরিকল্পনা করছেন তারা।

‎মঙ্গলবার(১১ মার্চ) সকালে উপজেলার মুরাদিয়ার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে মাঝি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নানা বর্ণের হাঁসের পদচারণা আর ডাকাডাকিতে মুখর চারিদিক এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সাদা ও বাদামী রঙের ডিম। সেগুলো সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারি মোশারেফ হোসেন ও তার মেয়ে মারুফা। 

‎খামারি মোশারেফ হোসেন মাঝি ও তার মেয়ে মারুফা'র সাথে আলাপকালে জানা যায়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মোশারেফ মাঝি'র কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় জুলাই বিপ্লবের পরে ঢাকা থেকে পরিবারসহ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে বসত বাড়ির আঙিনা ও নিজ পুকুরের প্রায় ৭৮ শতাংশ জমির ওপরে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে খামার শুরু করা হয়। ২ মাস বয়সী প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা ২'শ টাকা হিসেবে মোট ১৩'শ খাকি ক্যাম্বল ও চিংডিং জাতের বাচ্চা ক্রয় করেছিলেন তিনি। 

‎শুটকি, ভুট্টা, চালের কুঁড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুঁড়া, ডালের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে মেশিন ভাঙ্গিয়ে হাঁসের খাবার তৈরি করে খাওয়াতে গড়ে প্রতি দিন ৬ হাজার টাকা খরচ হয়।

‎ডিম উৎপাদন ও চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে মারুফা আক্তার বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৭'শত ডিম দেয়। পটুয়াখালী ও দুমকি থেকে পাইকাররা এসে হালি প্রতি ৬০টাকা দরে ডিম নেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়েও ডিমের বেশ কদর রয়েছে।   খরচ বাদে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়াও গড়ে ৭'শ টাকা হিসেবে খামারে ৮ লক্ষাধিক টাকার হাঁস রয়েছে। 

‎খামারি মোশাররফ হোসেন মাঝি জানান,  হাঁসের খামারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক কবুতর‌ পালন করে প্রতি মাসে ৩৫/৪০ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করেন তিনি।

‎দুমকী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা(এলডিডিপি)ডা: অশোক হালদার বলেন, বর্তমানে উপজেলার উত্তর মুরাদিয়াতে আমাদের অফিস মুরগী পালন নিয়ে একটি গ্রুপ কাজ করছে। খামারি মোশারেফ মাঝি'র হাঁসের খামার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তিনি অফিসে এসে তার খামারের তথ্য প্রদান করলে তার খামারটি পরিদর্শন করে সরকারি সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।