শিবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মতবিনিময় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকমন্ডলি, এনজিও প্রতিনিধি, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, যুব প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে এক মতবিনিময় সভা

শিবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে মতবিনিময় সভা
ছবি-চাঁপাই প্রেস

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকমন্ডলি, এনজিও প্রতিনিধি, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, যুব প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের চক ঘোড়া পাখিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠে ইউনিসেফের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ (SSBC) প্রকল্পের বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চক ঘোড়া পাখিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জায়েদ আলীর সভাপতিত্বে মোঃ করিমোল্লাহ্ (সিএফ) এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,গোলাম রাব্বানী ছবি , চেয়ারম্যান ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস. আই. মুহাইমিনুল শিবগঞ্জ থানা, মো: জমির উদ্দিন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, আব্দুল কাদির(সিএফ), আজিজুল মেম্বার , সমাজসেবক মোঃ দানেশ এবং মাওলানা মোঃ তরিকুল ইসলাম ছত্রাজিতপুর বড় জামে মসজিদ এছাড়াও সহকারী শিক্ষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান, ইউপি সদস্যগণ, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, হুজুর ও এনজিও কর্মী, সংবাদকর্মীসহ আরও প্রমুখ।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনার কার্যক্রম শুরু হয়, প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি বিধায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানগুলো যদি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাল্যবিবাহ বন্ধের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয় তাহলে এর প্রভাব পুরোপুরি পড়বে।তিনি আরও বলেন বর্তমানে বাল্য বিয়ে অনেকাংশে কমে গেছে তিনি আরও বলেন ইতোমধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে কেউ যদি বাল্যবিয়ে দেয় বা সহোযোগিতা করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি, এই ব্যাধি থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং সমাজে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

পরে সভাপতির বক্তব্যে জায়েদ আলী বলেন সকল অভিভাবককে সচেতন হতে হবে যেন একটি শিশুও বাল্যবিবাহে শিকার না হয় তিনি বলেন বাল্য বিয়ের সচতনতা বৃদ্ধির জন্য মা সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে।