চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক ডিজঅনার মামলায় চাইনিজ রফিকের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক ডিজঅনারের অপরাধে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক ডিজঅনার মামলায় চাইনিজ রফিকের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড
ফাইল ছবি

চাঁপাই প্রেস ডেস্ক:চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেক ডিজঅনারের অপরাধে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে এক(০১) বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে তার দেওয়া উল্লিখিত ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জহির জামান (জনি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আব্দুল বাশির মো. নাহিদুজ্জামান।

রায় ঘোষণার সময় রফিকুল ইসলাম চাইনিজ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়া মহল্লার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। এই মামলার বাদী ব্যবসায়ী হাম্মাদ আলী। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যবসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা হাম্মাদ আলীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন বিএনপি নেতা রফিক। কিছুদিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে গড়িমসি করেন। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি হাম্মাদ আলীকে ১০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকার চারটি চেক প্রদান করেন রফিক। পরে হাম্মাদ আলী চেকগুলো জমা দিলে পর্যন্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক সেগুলো প্রত্যাখান করে ডিজঅনার সনদ প্রদান করে।

ব্যবসায়ী হাম্মদ আলী টাকা না পেয়ে একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ দেন রফিককে। এরপরেও টাকা না দেওয়ায় রফিবের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৭ মার্চ চিফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, চেক ডিজঅনার মামলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে তাকে চেকে বর্ণিত সমপরিমাণ টাকার জরিমানা করা হয়। আইনি লড়াই করতে হলে অবশ্যই আপিল করতে হবে। 

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম( চাইনিজ রফিক) বলেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা ছিল। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।