চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপিত
বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার স্মৃতিচারণ করেন
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নামফলকে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
পরে সেখান থেকে একটি র্যালি বের হয়ে নিউমার্কেট সড়ক ঘুরে শহরের আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেটের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিজয় র্যালিটি ফিরে এসে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার ছিলেন, মোছা. তাছমিনা খাতুনসহ বিশিষ্টজনরা।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার স্মৃতিচারণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন তাঁর বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহীদদের নামফলকে শহীদ সাটু ও আব্দুল হাইয়ের নাম সংযুক্ত করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের শাহাদতস্থলের জায়গাটিকে আরো সুন্দর করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, সেদিন যাঁরা এদেশকে ভালোবেসে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, যাঁরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করেছিলেন। তাঁদের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশ। এখন আমাদের কাজ হবে দেশকে ভালোবেসে দেশের প্রতিটি ভালো কাজে আমরা যেন যুক্ত হতে পারি। নতুন প্রজন্মের কাছে এই আমার আহ্বান।