দুমকীতে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়ার অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে
পটুয়াখালীর দুমকীতে জামে মসজিদে দুই পক্ষের বিবাদে মসজিদের মুসুল্লিদের মা-বোন তুলে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাকায়েতউল্লাহ হাওলাদার(৮০) নামের এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে।

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকীতে জামে মসজিদে দুই পক্ষের বিবাদে মসজিদের মুসুল্লিদের মা-বোন তুলে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাকায়েতউল্লাহ হাওলাদার(৮০) নামের এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে।
তিনি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিডি হাবিবুল্লাহ ও মুরাদিয়া ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান জাফরুউল্লাহ এর মেঝ ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মসজিদের মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করলেন খোলা আকাশের নিচে ঈদগাহ মাঠে। বর্তমানে ওই মসজিদে নামাজ আদায় বয়কট করেছেন স্থানীয় মুসুল্লিরা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন কলবাড়ি বাজার জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে মুরাদিয়া ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ একটি ক্লাব ঘর নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে মুসুল্লীদের অনুরোধে মৃত. খালেক শিকদার কলবাড়ি বাজার জামে মসজিদটি স্থাপন করলে সে অনুযায়ী মুসল্লিগণ দীর্ঘদিন যাবত জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন। এদিকে সাকায়েতউল্লাহ'র দাবি, তিনি মসজিদে জমি দান করেছেন এবং অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। গত বছর তাকে মসজিদ থেকে অপমানিত করে বের করে দিয়েছে স্থানীয় একটি দুষ্ট চক্র। সম্প্রতি তিনি মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দিতে চাইলে তাতে বাঁধা দেন ওই চক্রটি। এছাড়াও পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমি যাতে আযান না দিতে পারি, ঘোষণা দিতে না পারি তাই ওই চক্রটি মসজিদের তালা দিয়ে রাখে গতকাল।
দলিল উদ্দিন নামের স্থানীয় এক মুসুল্লি অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই সাকায়েতুল্লাহ মুসুল্লিদের বলেন তোমাদের আমার লাগবে না, লাগলে নামাজ আমি একলা পড়মু, মসজিদ আমার জায়গায়, মসজিদ আমি ভেঙে ফেলবো।
জানতে চাইলে মসজিদ ইমাম মৌলভী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, মুসুল্লিদের মা নিয়ে গালিগালাজ করায় মুসুল্লিরা আর মসজিদে যেতে চাইছেন না। তাই গতকাল ঈদগাহ ময়দানে আমরা জুমা'র নামাজ আদায় করেছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাকায়েতউল্লাহ বলেন, আমি মসজিদের বিদুৎ বিল দিতে চাইলে স্থানীয় একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে। দুষ্ট চক্রের সদস্যদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানদার কালাম, ফার্মেসী আসলাম, মিল্লাত সহ আরও অনেক আছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মিজান শিকদারকে একাধিক বার তার মুঠোফোনে কল করা হয়েছে। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি যদি সত্ত্যি হয়ে থাকে তবে তা ন্যাক্কারজনক। আমি চাই সবাই মিলে স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক।