চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত 

আত্মহত্যা বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃআত্মহত্যা বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সিভিল সার্জন অফিস র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সিভিল সার্জনের কার্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।র‌্যালির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান।

সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম শাহাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহম্মদ মশিউর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. সুমন। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন— নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ মফিজুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিশির শবনম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী মোসা. তামান্না খাতুন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রী মোসা. আবিদা সুলতানা, হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সাফি শাহরিয়ার ভাষা ও নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহবুবা ফেরদৌস। সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া।

মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান, মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন আত্মহত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. শাহীন। তিনি তার উপস্থাপনায় জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে এবং বিশ্বে প্রতিবছর ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। তিনি জানান, পরিবারের অবহেলাসহ নানান কারণে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ৯০ ভাগ মানুষ জানে না মানসিক স্বাস্থ্য কী।

ডা. শাহীন জানান, দেশে ১০টি জেলায় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে, তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জও রয়েছে। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে একটি করে কর্নার আছে, যেখানে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও সেকমোগণ কাজ করছেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা সন্তানদের ওপর মানসিক চাপ না দিয়ে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করার করার জন্য অভিভাবক ও মা-বাবার প্রতি আহ্বান জানান।