নওগাঁয় বিধবা নারী উদ্যোক্তার পুকুরে বিষ দিয়ে ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
নওগাঁয় বিধবা নারী উদ্যোক্তার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট কীটনাশক প্রয়োগ এতে ওই পুকুরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে
স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:নওগাঁয় বিধবা নারী উদ্যোক্তার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট (কীটনাশক) প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই পুকুরে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের কসবা কুয়ানগর গ্রামের মাছ চাষি নারী উদ্যোক্তা নাজমিনা বেগমের মালিকানাধীন পুকুরে এ বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।
মাছ চাষী নারী উদ্যোক্তা নাজমিনা বেগম বলেন,বাড়ির পাশে কসবা মোড় সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন দুই বিঘার পুকুর দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলাম। শনিবার সকালে পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরের রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন মাছ মরে ভেসে উঠেছে। মাছ মরে ভেসে উঠা দেখে দিশাহারা হয়ে পড়ি। আমি স্বামী হারা এক নারী উদ্যোক্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই পুকুরে মাছ চাষ করছিলাম। রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ গুলো মরে যাওয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
নাজমিনা বেগম দাবী করে বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা শত্রুতা করে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছেন। এতে আমার প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ছেলে সারোয়ার শুভ বলেন- পুকুরে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৮০ মন মাছ ছিলো। ভেসে উঠা প্রায় ৬০ মন মাছ ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। বাঁকী মাছ তলিয়ে গেছে এবং এলাকাবাসীরাও নিয়ে গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার কয়েজন ব্যক্তি এ ক্ষতি করতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, মৌখিক অভিযোগ জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মাছ মারা যাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।