নাচোল পৌরসভা : বর্জ্য থেকে তৈরি করছে সার,বিক্রি শুরু
নাচোল পৌরসভার পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার পৌরসভার ক্রয়কৃত জমিতে বর্জ্যরে ভাগাড়ে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বর্জ্য শোধনাগার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার পচনশীল বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এরই মধ্যে বিক্রিও শুরু হয়েছে। পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের ময়লা আবর্জনা থেকে উৎপাদিত ২ কেজি সার ৪০ টাকায় ক্রয় করেছেন নাচোল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চিয়ারম্যান জান্নাতুন নাইম মুন্নি। গত সোমবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ সার ক্রয় করেন।
নাচোল পৌরসভা ও সহযোগী সংস্থা ডাসকো সূত্রে জানা গেছে, নাচোল ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামে পৌরসভার ক্রয়কৃত জমিতে বর্জ্যরে ভাগাড়ে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বর্জ্য শোধনাগার। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পৌরবাসীর সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ করে ওই শোধনাগারে রাখছেন। সেখানে পানীয়র বোতল, পলিথিনসহ কঠিন বর্জ্যগুলো বাছাই করে পৃথক চেম্বারে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি পচনশীল বর্জ্য থেকে বেশ কয়েকটি চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার। প্রতি ১৫ দিন পরপর ৩০০ কেজি করে সার পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ডাসকো ফাউন্ডেশনের কমিউনিটি অর্গানাইজার বেলাল উদ্দিন বলেন লক্ষ্মণপুর গ্রামে যেখানে ময়লা আবর্জনা রাখা হতো তার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াত। আমরা ডাসকোর পক্ষ থেকে সেইসব বর্জ্য শোধনের উদ্যোগ নিই এবং নাচোল পৌরসভার কর্মকর্তাদের নিয়ে সাভারে স্থাপিত বিভিন্ন বর্জ্য ব্যস্থাপনা ও ছোট ছোট শোধনাগার পরিদর্শন করি। পরে লক্ষ্মণপুরে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি চেম্বার বিশিষ্ট একটি শোধনাগার নির্মাণ করে নাচোল পৌরসভা; যার ২০ শতাংশ ব্যয় করে পৌরসভা এবং ৮০ শতাংশ ডাসকো। শোধনাগারে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ কঠিন বর্জ্যগুলো আলাদা করে রাখা হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া পচনশীল বর্জ্য থেকে প্রতি ১৫ দিন পরপর ৩০০ কেজি জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেয়র আব্দুর রশিদ খান ঝালু বলেনÑ এটি নাচোলবাসীর জন্য একটি অবশ্যই ভালো খবর। তিনি বলেন, এ কাজের জন্য ইতোমধ্যে দুজন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। পৌরবাসীর বর্জ্যরে ওপর নির্ভর করবে সার উৎপাদন ও আয়। তিি বলেন, সার বিক্রি থেকে আয় পৌরসভা পাবে।