আদালতের তদন্ত কাজে বাঁধা,তদন্ত কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ-মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুলের বিরুদ্ধে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালিতলা বিলের ইজারাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করেন বিগত ১৫ বছর ধরে বিল লিজ নেওয়া হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি'র সহ সভাপতি শান্ত হাওলাদার।

আদালতের তদন্ত কাজে বাঁধা,তদন্ত কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ-মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুলের বিরুদ্ধে

বদিউজ্জামান রাজাবাবু স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালিতলা বিলের ইজারাকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা করেন বিগত ১৫ বছর ধরে বিল লিজ নেওয়া হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি'র সহ সভাপতি শান্ত হাওলাদার। 

গত ২৭ মার্চ টেন্ডারের মাধ্যমে বিল ইজারাপান নামোনিমগাছি হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি, এতে টনক নড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বির্তকিত সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাইমুল হকের, কারণ একটাই তা হলো 'টাকা' টাকার কাছে বিক্রি হয়ে আছেন তিনি।পর পর ৩ মেয়াদে ৯ বছর ধরে বিলটি তার নিয়ন্ত্রিত হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি মাছ চাষ করে আসছে। এবার বিলটি হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিজ না পাওয়ায় ষড়যন্ত্র শুরু করেন এই কর্মকর্তার। সরকারি বিলে বিষ প্রয়োগ, আদালতে লিজ প্রক্রিয়া নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট সকলে বিরুদ্ধে মামলা করেন তার অজ্ঞাবহ শান্ত হাওলাদার। শুধু তাই নয় সরকারী কর্মকর্তা হয়েও তিনি এই বিলের শেয়ারদার যা দন্ডনীয় অপরাধ।

জানা গেছে, হরিপুর কালিতলা বিলটি টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ পাই নামোনিমগাছি হরিপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি, সেই লিজ বাতিল করতে আদালতে হয় মামলা, আদালত উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোসাঃ এলিজা খাতুন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন দাশের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে গঠন করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। গতকাল বুধবার (২১ এপ্রিল) সরেজমিনে বিলটিতে তদন্তটিম তদন্তে গেলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোসাঃ এলিজা খাতুনের সাথে অবৈধ ভাবে সেখানে যান উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মোঃ নাইমুল হক। সেখানে তিনি তদন্ত কাজে বাঁধা প্রদান করেন। উপজেলা সমবায় অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান তার বৈরী আচরণে বিরক্ত বোধ করলে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে মারতে তেড়ে আসেন এ সময় আরেক তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন দাশ তাকে ধরে নেন, এ সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তাসমিনা খাতুন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং ভিডিওটি দেখিছি সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুলের এমনটি করা ঠিক হয়নি, এটা লজ্জাস্কর বিষয় এতে বিব্রত উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি আমি উদ্বর্তন কর্মকর্তাকে জানাবো। 

সাদিরুল ইসলাম নামে এক মৎস্যজীবি বলেন, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুল হক ফ্যাসিস্ট আওয়ামীগীগের দোসর উপজেলার বিভিন্ন পুকুর-বিলে ইজারাদারদের কাছ থেকে লিজ পাইয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এবং শেয়ার নেই আম জনতার একটাই দাবি সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুলের অপসারণ ও বিচারের দাবী করছি।

উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা মাননীয় আদালতে নির্দেশে বিলে তদন্তে গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জনাব নাইমুল হক তিনি তদন্ত কমিটির সদস্য না হয়েও উপজেলা সিনিয়র কর্মকর্তা'র সাথে সেখানে উপস্থিত হয় এবং তদন্ত কাজে বাঁধা প্রদান করেন আমি বিরক্ত হলে তিনি আমার সাথেও খারাপ আচরন করেন এনকি আপনারা ভিডিওতে দেখেছেন উনি আমার মারতে তেড়ে আসেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোসাঃ এলিজা খাতুন কে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি এবং উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাইমুল হক কে তার বেশ কিছু অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতার সহিত বলেন, তুমি ২ দিনের সাংবাদিক তোমার বলার ক্ষমতা আছে বলো, পারলে আমার...... কিছু করে নিও। সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোসাঃ এলিজা খাতুন উনি পিএইচডি করা পারলে উনারও কিছু করে নিও।

এই উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, উপজেলা'র পদ্ম- মহানন্দা নদীতে অবৈধ জাল ধরে, তা-না পুড়িয়ে বিক্রয়ের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে বিভিন্ন সকরারী পুকুর-বিলে শেয়ার নেওয়া, ঘুষ বানিজ্য এবং বিল ইজারাদারদের সাথে  পিকনিক খাওয়া ইত্যাদি। আম জনতার প্রশ্ন কে এই নাইমুল হক তার খুটির জোড় কোথায়?