চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে শহরের ফুড ক্লাবে মতবিনিময় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুজার গিফারী, জেলা নায়েবে আমীর ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ লতিফুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ আবু বকর, জেলা সহঃ সেক্রেটারী ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুখলেশুর রহমান, অধ্যাপক মোঃ আবুল হাসান, ইসলামী ছাত্র শিবিরের পৌর সভাপতি ওমর ফারুক, সদর উপজেলা আমীর আব্দুল আলীম, নবাবগঞ্জ পৌর আমীর মোঃ গোরাম রাব্বানী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।

প্রধান অতিথি নূরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকাসহ দেশ ব্যাপি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। সংগ্রামে জামায়েতসহ রাজনৈতিক দলের ভূমিকা আলোচনা করেন। তিনি সফল এবং ঐতিহাসিক একটি পট পরিবর্তনে মূল ভূমিকা পালনের জন্য ছাত্র সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তার নিজ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসন থেকে নির্বাচন করেছি। সামনে নির্বাচন হবে, তবে সংস্কারের জন্য গঠিত সরকার কে সময় দিতে হবে। অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য জামায়াত সর্বদা প্রস্তুত।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে দলের শীর্ষ নিতি নির্ধারনীমহল। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে, সেটিও তারাই টিক করবেন। দলও জনগণ যদি চায় তখন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসবে। নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তই জামায়াত নেতাকর্মীদের কাছে চুড়ান্ত বলে বিবেচিত। গত ৫ তারিখ ক্ষমতা পরিবর্তনের পরমুহূর্ত থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা সংযত রয়েছেন। সেই দিন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা পালনের জন্য নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা এখনো সেই নির্দেশনা মেনে চলছেন। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটালে তদন্ত করে সংগঠনিক পদক্ষেপ নেয় হবে। জামায়াত উশৃংখলতা পছন্দ করে না। সংখ্যালঘুদের প্রতি বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। তারা এ দেশে নিরাপদ। মন্দির, গির্জা পাহারা দেওয়া হয়েছে। হটাৎ করে সৃষ্ট বন্যার্তদের পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দিয়েছে জামায়াত। পুরোদমে চলছে বন্যার্তদের সাহায্যের কাজ।