পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘরবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট-নারীদের শ্লীলতাহানি
নওগাঁর নেয়ামতপুর সারোকডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা
নওগাঁর নেয়ামতপুর সারোকডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় বাড়িতে থাকা নারীদেরকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করে তারা। এ ঘটনায় ৫-৬ জন নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নেয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সারোকডাঙ্গা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, প্রতক্ষ্যদর্শী, স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সারোকডাঙ্গা মোড়ে ২০২২ সাল থেকে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন মৃত হাসেম আলীর ছেলে তাইজুদ্দিন ও তার পরিবার। একই বছরে তাইজুদ্দিনের জমির দলিল জাল বলে অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেন একই গ্রামের মৃত সাহেবজানের ছেলে মো. জোহর আলী। এনিয়ে আদালতে বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় জোহর আলীর ছেলে মাইনুল, সাবির, আহসান হাবীব, জাহাঙ্গীর ও রাকিবের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল এসে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এসময় ২ লাখ টাকা, নারীদের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র লুট করা হয়। ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি টিনের ঘর। ভাংচুরে বাধা দিতে গেলে পরিবারের সদস্যদের লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এদের মধ্যে ৭-৮ জন নারী-পুরুষকে নেয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেও এদের মধ্যে তাইজুদ্দিনের স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সায়েমা ও আয়েশা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নাজমা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে তার আগেই ভাংচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী। নেয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মাহমুদ জানান, ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।