প্রতিবন্ধী মা-মেয়ের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয়েছে,যাত্রী ছাউনি উম্মুক্ত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুনামধন্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁপাই প্রেস পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধিঃ "প্রতিবন্ধী মা-মেয়ে থাকেন যাত্রীছাউনিতে, পেট চলে ভিক্ষার টাকায়" শিরোনামে (২২ সেপ্টম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুনামধন্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁপাই প্রেস পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদটি আলোচনায় আসলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তাদেরকে যাত্রীছাউনি থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। উম্মুক্ত হয় উপজেলা সদরের একমাত্র যাত্রীছাউনিটি।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের বালাহৈর গ্রামের সুলতানা ইয়াসমিন (৪৫) একজন স্বামী পরিত্যক্ত নারী। পাঁচ–ছয় বছর আগে অজানা এক রোগে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। তাঁর একমাত্র মেয়ে তানজিলা খাতুন (১৬) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সৎমায়ের কারণে সুলতানা বাবার বাড়ি যেতে পারেন না। বাধ্য হয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকছিলেন প্রতিবন্ধী মা ও মেয়ে।
সুলতানা ইয়াসমিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার সোনাইচণ্ডী গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে এবং উপজেলা সদরের বালাহৈর গ্রামের তাইজুল ইসলাম (খেন্টুর) স্ত্রী ছিলেন।
স্হানীয়রা জানান, সুলতানা ইয়াসমিন হাঁটা-চলাফেরা করতে পারতেন না। ডান পায়ের আঙুলে পচন ধরায় চিকিৎসা দেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। তাছাড়া প্রতিবন্ধী মেয়ে তানজিলা খাতুন ওর মায়ের জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে যা পেতেন তাই দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে চলছিল তাদের জীবন। সমাজসেবা অফিসার তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
সাগর নামের এক পথচারী বলেন, প্রতিবন্ধী মা-মেয়ে খুব অসহায় ছিল। তাদের কারণে যাত্রীছাউনিতে দুর্গন্ধে কেউ যেতে পারতো না। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্হা হয়েছে এতে তাদের যেমন উপকার হয়েছে তেমনি যাত্রীছাউটাও উম্মুক্ত হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান মন্ডল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ফোনে আমাকে জানালে আমি ও স্টাফরা তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিধানের জন্য জামা-কাপড়ে ক্রয় করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। আপাতত তারা ভালো রয়েছেন।
চিকিৎসাব্যয় কে বহন করবে,এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের চিকিৎসার খরচ রাজশাহী সমাজসেবা অফিস বহন করবেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে তারা চাইলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে 'সেভ হোমে' থাকতে পারেন অথবা এলাকায় ফিরে আসলে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূর্নবাসন করা হবে।