‎সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল হরিণের উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলেছে একটি মায়া হরিণের। উদ্যানের কুনিমোড়া এলাকায় সোমবার সকালে হরিণটি দেখা যায়।

‎সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলল হরিণের উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা

স্বপন রবি দাশ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা মিলেছে একটি মায়া হরিণের। উদ্যানের কুনিমোড়া এলাকায় সোমবার সকালে হরিণটি দেখা যায়। এমন দৃশ্য উদ্যান ও আশপাশের জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

‎স্থানীয়রা জানান, এর আগেও সড়কের পাশে বানর ও মাঝে মাঝে ভাল্লুক দেখা গেলেও হরিণের দেখা পাওয়া বেশ বিরল ঘটনা। এবার মায়া হরিণের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ ও আশাবাদ বিরাজ করছে।

‎উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৮টার দিকে চুনারুঘাট-মাধবপুর পুরাতন মহাসড়কের পাশে হরিণটি দেখে মোবাইল ফোনে ছবি তোলেন রাজার বাজারে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বিশ্বজিৎ রায় সুমন।

‎সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ঘিরে ২৪৩ হেক্টর আয়তনের বনভূমি রয়েছে। উদ্যানের চারপাশে রয়েছে ৯টি চা-বাগান এবং ভেতরে টিপরা পাড়ায় পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ২৪টি পরিবার বসবাস করে। এ বনে ১৯৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণি ও সরীসৃপ এবং ১৫০ থেকে ২০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, কুলু বানর, মেছোবাঘ এবং মায়া হরিণ।

‎উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে যা একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। তবে বন ও প্রাণি সংরক্ষণে স্থানীয়দের সচেতনতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

‎এ বিষয়ে পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যকমী জানান,“বনের ভেতরে যারা বসবাস করেন বিশেষ করে আদিবাসী পরিবারগুলোকে বন্যপ্রাণী রক্ষায় আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শিকার বা প্রাণিহত্যা যেন না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

‎প্রকৃতিপ্রেমীরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় পর্যটন ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি বন বিভাগের তদারকি ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও আরও জোরদার করা প্রয়োজন।