বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে-তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াত প্রশাসনকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ী মহলের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রেই বেশি মনোযোগী

বিএনপি-জামায়াত ভাগ-ভাটোয়ারা করে প্রশাসন দখল করেছে-তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ
সংগ্রহীত ছবি

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াত প্রশাসনকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম এখনো ব্যবসায়ী মহলের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রেই বেশি মনোযোগী।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত 'সেলফ রেগুলেশন অ্যান্ড গ্রিভেন্স ইন মিডিয়া: পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি পার্স্পেকটিভ' শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব নিলাম, তখন বিএনপি-জামাতের লোকেরা এসে বলল সব ফেয়ার হতে হবে- ভিসি নিয়োগ হল ১০ জন বিএনপির ৩ জন জামাতের, অ্যাডমিন কে নেবে সেটা নিয়ে কাড়াকাড়ি হলো। এগুলো আমার চোখের সামনেই হয়েছে। তখন সবাই বলল দুই বছর তিন বছর যা সময় লাগে সংস্কার ও বিচার করেন। চার মাসের মধ্যে তাদের সব লোক সেট করা হয়ে গেল, ডিসেম্বর থেকে শুরু হইলো অসহযোগ।

উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, এই সরকারের একটা বড় ক্রাইসিস আছে। আমার গদি কখন চলে যায় সেটা নিয়ে।

তিনি বলেন, 'গত এক মাস ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল মিডিয়াপাড়ায় ছাত্র উপদেষ্টারা নেমে যাবেন। এতে ছাত্র উপদেষ্টাদের দপ্তর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে, কাজ স্লো হয়ে গেছে।

'জুনে যখন লন্ডনে ঘটনা ঘটলো, তারপর বাংলাদেশের পুরা ল্যান্ডস্কেপ চেঞ্জ হয়ে গেল রাজনৈতিকভাবে। এজন্য বলছি রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আমি এক মাসের মধ্যে আইন করে দিতে পারব। যদি না চায় তাদের যদি সদিচ্ছা না থাকে…অনেকে বসে আছে কখন পরবর্তী সরকার আসবে,' বলেন তিনি।

মাহফুজ বলেন, 'কেউ আসলে ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট দেখে না। সামগ্রিকভাবে আমরা আসলে কোন জিনিসটা করলে একটা ভালো আইন পাব, ভালো একটা পলিসি পাব, ভালো একটা প্র্যাকটিস পাব- সেটা নিয়ে কেউ আসলে আগ্রহী না। আমার এই হতাশা আছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো বলে রাখলাম কারণ আমার তো নামতে হবে, জানি না আজকেও নামতে হতে পারে। বিষয়টা হচ্ছে অন্য উপদেষ্টারা যেখানে নিশ্চিত যে ইলেকশন পর্যন্ত থাকবেন, আমি নিশ্চিত না কতদিন থাকব। নতুন কেরে শুরু করলাম টাইমলাইন ঠিক করলাম, কিন্তু জানি না আমি শেষ করে যেতে পারব কি না।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি। আমরা অন্তত ওয়েজ বোর্ড, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন এবং গণমাধ্যম কমিশন নিয়ে এগোতে চাই। আমরা চাই মিডিয়া হাউজগুলো কোড অফ কন্ডাক্ট তৈরি করবে নভেম্বরের ভেতরে।

মাহফুজ আলমের মতে, গণমাধ্যমকে সব গোষ্ঠীর স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও ঐকমত্য জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘সিভিল-মিলিটারি আমলাতন্ত্রকে ফ্যাসিস্টমুক্ত না করলে মিডিয়াকেও ফ্যাসিস্টমুক্ত করা সম্ভব নয়।

সূত্র দৈনিক ইত্তেফাক