এবার কঠোর নিরাপত্তায় শারদীয় দুর্গোৎসব

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকলের সহযেগিতায় এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে

এবার কঠোর নিরাপত্তায় শারদীয় দুর্গোৎসব

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকলের সহযেগিতায় এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে।

বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন একথা জানিয়েছেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন- প্রতিটি পূজাম-পে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরাসহ আইপি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, স্বেচ্ছাসেবক ও ডেকরেটর কর্মীদের এনআইডি নম্বরসহ তালিকা দিতে হবে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। জেলা প্রশাসনসহ প্রতিটি বাহিনীর কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে, পূজা-সংক্রান্ত যে কোনো সংবাদ আপনারা কন্ট্রোল রুমে তাৎক্ষণিকভাবে জানাবেন।

ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।

সভায় নবমী ও দশমীর দিন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোল আদায় সহজ করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া জাতীয়ভাবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

সকল পূজাম-পই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান বলেন- পূজামণ্ডপগুলোর নামে ফেসবুক আইডি থাকলে পুলিশকে জানাতে হবে। এছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পোস্ট দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, পূজায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পূজামণ্ডপে ডিজে নাচ গান করা যাবে না বলেও জানান তিনি।

সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ। আরো বক্তব্য দেন- সিভিল সার্জন এস এম মাহমুদুর রশিদ, ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আসরারুল হক, ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো, রাব্বুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুন, নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন ও ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম।

মুক্ত আলোচনা অংশ নেন- আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট হুমায়ুন কবীর, জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মো. মাহবুবুল ইসলাম, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন তালুকদার, চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মসিউল করিম বাবু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ জিয়াউর রহমান আারমান, মন্দিরভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মিলন কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়সহ জেলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

সভায় জানানো হয়, জেলায় এবার ১৫৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২, শিবগঞ্জে ৪৬, গোমস্তাপুরে ৩২, নাচোলে ১৫ ও ভোলাহাটে ৩টি পূজামণ্ডপ রয়েছে।