বৈষম্যহীন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার প্রত্যাশা বেরোবি শিক্ষার্থীদের

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ক্যাম্পাস গুলো থেকে

বৈষম্যহীন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার প্রত্যাশা বেরোবি শিক্ষার্থীদের

তজিবুর রহমান:চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ক্যাম্পাস গুলো থেকে। কারণ, দেশ-রাষ্ট্র-কাল সমন্ধে সবচেয়ে সচেতন উদীয়মান মানুষগুলোর আবাস এখানেই। এছাড়া, প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থান ব্যাক্তির কর্তাসত্তাকে পতিত অবস্থান থেকে তুলে ধরে, জাগিয়ে তোলে।অভ্যুত্থানজাত এই কর্তাসত্তার পরিচর্যাই হওয়া উচিৎ আমাদের লক্ষ্য। সর্বপরি ক্যাম্পাস গুলোকে তার পতিত অবস্থান থেকে উত্তরণের ও সৃজনশীল রূপান্তরের বিভিন্ন উপায়-পদ্ধতি অন্বেষণ ও তা বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে উদ্যোগী হওয়াই হওয়া উচিৎ গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের প্রধান ব্রত। কিন্তু, জাতীয় পরিসরে সে উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি। তবে, ব্যাক্তি মানুষ হিসেবে নিজের দায় থেকে ক্যাম্পাসের সচেতন ও পরিবর্তনকামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই জরুরি প্রক্রিয়াটিকে সফল করে তুলতে আমি বদ্ধপরিকর।

শাহরিয়ার সোহাগ (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সম্বনয়ক এবং বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক)

 ২৪এর বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে,আমরা চাই আমাদের এই প্রাণের ক্যাম্পাসে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীভূত হোক।শহীদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাস হবে দলীয় লেজুড়বিহীন শিক্ষার্থীবান্ধব একটি ক্যাম্পাস। আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালুর মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের একটা শক্ত প্লাটফর্ম তৈরি হবে,এবং সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়।শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট,শ্রেণিকক্ষ সংকট,শিক্ষক সংকট ,অডিটোরিয়াম সহ নানা ঘাটতি রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগাপ্ল্যানের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেস্টা চলমান রেখেছি।কৃষি অনুষদ ও আইন অনুষদ চালু করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের জন্য আমরা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয় কে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিণত করার জন্য আমরা সর্বদা কাজ করে যাবো।

আরমান হোসাইন (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সম্বনয়ক)

বেরোবিতে ২৪ আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে বেরোবি সমন্বয়করা ক্যাম্পাসকে একটি আদর্শ ক্যাম্পাসে পরিনত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে করা দুর্নীতি যেন বেরোবিকে আরষ্ট করে রেখেছে বিভিন্ন ভাবে যা নিঃসরণ করে বেরোবিকে শিক্ষার্থী বান্ধব করা একটি চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছে সমন্বয়কদের পক্ষে। এরপরেও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ,সাঈদ হত্যার বিচার এবং ছাত্রলীগের হয়ে হামলাকারী শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের শাস্তি নিশ্চিতকরণসহ ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বেরোবির সমন্বয়করা। একটি উন্নত শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে ভবিষ্যতেও প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে সমন্বয়করা কাজ করে যাবে।

রুম্মানুল ইসলাম রাজ (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সম্বনয়ক) 

২৪ পরবর্তী বেরোবির সমন্বয়ক তথা আবু সাঈদের সহযোদ্ধারা তারা ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।যেমন অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতকরন, আহতদের চিকিৎসা ও পূর্নবাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট, শিক্ষক সংকট, বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিটোরিয়াম নাই টিএসসি নেই, নেই কোন স্থায়ী শহীদ মিনার , একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপায়ন জন্য প্রতিশ্রুত ৮ টি ফ্যাকাল্টির ৪৪ টা ডিপার্টমেন্ট থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২২ টি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেট বৈষম্যদূরীকরন প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গুলো গড়ে তুলতে জমি অধিগ্রহন সহ এখানকার ক্লাশ সংকট, ল্যাব ফ্যাশিলিটিস সহ, একটি অত্যাধুনিক যুগোপোযুগী আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সমন্বয়করা।

রহমত আলী (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সম্বনয়ক)