শিবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি
গত সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ঈদের আগ মুহূর্তে এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের পরিবারগুলো পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে শিবগঞ্জ সাংস্কৃতিক পরিষদের সামনে প্রথমে মোহাম্মদ আলীর মুদির দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাঁচটি মুদি, দুটি মসলা ও একটি কসমেটিকের দোকান পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকান মালিকদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. উজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মুদিখানার দোকানদার নওশাদ আলির দাবি, তাদের তিন ভাইয়ের তিনটি মুদিখানার দোকানেই এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, ঈদের আগে বেচা-বিক্রির আশায় সব পুঁজি দিয়ে ঈদের পণ্য কিনেছিলেন। এক রাতেই তার সব পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ঈদ করার স্বপ্ন, এখন স্বপ্নই থেকে গেল।
আবুল কালাম আজাদ জানান, তার ভাগ্নি জামাইয়ের একটি মসলার দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে দোকানটি পুড়ে যাবার সাথে সাথে সব স্বপ্নও পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ম্যানেজার কাদেরী কিবরিয়া জানান, আশপাশে পানির কোনো উৎস না থাকায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের তেল থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। ৮টি দোকানের প্রায় ১৮ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে এবং প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত তদন্তের পর সঠিকভাবে বলা যাবে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ বাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।