ইনশাআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব-তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু সঙ্গত কারণে এখনও দেশে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তবে ফেরার সময় চলে এসেছে। দ্রুতই দেশে ফিরবো। নির্বাচনের সময় জনগণের মাঝেই থাকবো।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কিছু সঙ্গত কারণে এখনও দেশে ফেরা হয়ে ওঠেনি। তবে ফেরার সময় চলে এসেছে। দ্রুতই দেশে ফিরবো। নির্বাচনের সময় জনগণের মাঝেই থাকবো।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘শারীরিকভাবে হয়তো ব্রিটেনে আছি, কিন্তু মন-মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে আমি ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই রয়েছি।
তিনি বলেন, ‘দেশে জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের সময় কেমন করে দূরে থাকবো? নির্বাচনের সময় জনগণের সঙ্গে জনগণের মাঝেই থাকবো।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কোনও ব্যক্তি বা দল নয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণই প্রকৃতপক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড।
‘বিএনপি প্রথম থেকেই বলে আসছিল, যত দ্রুত নির্বাচন হবে তত দ্রুত দেশে স্থিতিশীলতা আসবে।’ যোগ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, জাতীয় নির্বাচন যদি আরও ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে দেশের অনেকগুলো ক্রাইসিস তৈরি হতো না। দেরিতে হলেও সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরের ভেতরে চেয়েছিলাম তবে অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির ভেতরে নির্বাচন করতে চাইছে। আমরা আস্থা রাখতে চাই, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার সব রকম উদ্যোগ পর্যায়ক্রমিকভাবে নেবে।
বিএনপি দলগতভাবে নাকি জোটবদ্ধভাবে আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে নির্বাচন করবে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল বিগত স্বৈরাচারের সময় যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম কমবেশি একসঙ্গে কাজ করার জন্য। এমনকি আমরা যে ৩১ দফা দিয়েছি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের, এটি প্রথমে ২০১৬ সালে আমরা দিয়েছিলাম শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে। পরবর্তী সময়ে ভিশন টুয়েন্টি ছিল। যেটা পরে আরেকটু ডেভেলপ করে আমরা ২৭ দফা দিয়েছিলাম। পরে আমরা আমাদের সঙ্গে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের সাথে পরামর্শ করে সবার মতামত নিয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। কারণটি হলো, যে দলগুলোকে আমরা পেয়েছি আমাদের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলনে, আমরা চাই সবাইকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে। সবার মতামতকে সাথে নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠন করতে চাই।
নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শারীরিক সক্ষমতা যদি এলাও করে নিশ্চয়ই উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন।
জাতীয় রাজনীতিতে ডাকসুর প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, যেটা দেখলাম, বিভিন্ন মিডিয়াতে কিছু ব্যক্তি, যেমন-মান্না ভাই, উনি তো বোধহয় দুবার ভিপি ছিলেন। আমার থেকে অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ। আমরা যদি উনার বক্তব্য শুনে থাকি বা ধরে থাকি তাহলে তো আমি মনে করি না কোনও কারণ আছে। ছাত্র রাজনীতি ছাত্র রাজনীতির জায়গায়, জাতীয় রাজনীতি জাতীয় রাজনীতির জায়গায়।
জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বীকৃত যে নিয়ম, আইন-কানুন আছে, এগুলোর ভেতরে থেকে যদি কেউ রাজনীতি করে অবশ্যই করতে পারে। বিএনপি সবসময় বহুদলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কাজেই বিষয়টি আমরা এভাবেই দেখতে চাই।
আওয়ামী লীগ প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, দল হিসেবে তারা যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইন সিদ্ধান্ত নেবে।
চাঁপাই প্রেস/সূত্র_বাংলা ট্রিবিউন