প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে ‘আনন্দময়ী’ দেবী ফিরে গেলেন ‘কৈলাসের দেবালয়ে’।
মণ্ডপে মণ্ডপে মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে পূজা অর্চনা করা হয়। বিদের্শনা অনুযায়ী বিকাল থেকে শুরু প্রতিমা বিসর্জন। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভূজা দেবী; বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাঁকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়। তাঁর এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। বিসর্জনের আগে ঢাকের তালে আর সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৫৮টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২, শিবগঞ্জে ৪৬, গোমস্তাপুরে ৩২, নাচোলে ১৫ ও ভোলাহাটে ৩টি পূজামণ্ডপ ছিল।
শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উৎসবে প্রতিদিন ভক্তরা এ-মণ্ডপ থেকে ও-মণ্ডপ ঘুরে দুর্গামায়ের চরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। করেন পূজা-অর্চনা। ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মন্দির এলাকাগুলো। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি মণ্ডপগুলোয় নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়, বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। গোয়েন্দাদের নজরদারিও ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। ভক্তরা চোখের জলে বিদায় জানান দেবী দুর্গামাকে, কামনা করেন সুখ ও শান্তি।
সন্ধ্যা ৭টায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সুপার মো. ছাইদুল হাসান জানান, মণ্ডপগুলোসহ সারা জেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই বিসর্জন কার্যক্রম শেষ করার জন্য পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে বলা হয় এবং তারা সেভাবেই বিসর্জন সম্পন্ন করেন।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘœ করতে সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করেন।