বদলগাছীতে চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক, রফাদফা করে ছেড়ে দিল ডিবি পুলিশ

নওগাঁর বদলগাছীতে চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর মোটা অংকের টাকায় রফাদফার পর ছেড়ে দিল ডিবি পুলিশ

বদলগাছীতে চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক, রফাদফা করে ছেড়ে দিল ডিবি পুলিশ

এ বি এস রতন স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ :নওগাঁর বদলগাছীতে চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর মোটা অংকের টাকায় রফাদফার পর ছেড়ে দিল ডিবি পুলিশ।ঘটনাটি ঘটিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এএসআই মো: মুকুল হোসেন।

আটককৃত মাদক ব্যবসীরা হল উপজেলার ফতেজঙ্গপুর গ্রামের মজিবর মন্ডলের ছেলে এরশাদ হোসেন (৫৫), সোহাসা গ্রামের মিঠু হোসেন (৩০), বদলগাছী পিন্ডিরা গ্রামের ওশমানের ছেলে মিল্টন হোসেন(৪৮)।

জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এএসআই মুকুল হোসেন, একজন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বদলগাছী সদর ইউনিয়নের ফতেজঙ্গপুর মাদ্রাসা গেটের সামনে হতে ৫ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী এরশাদকে আটক করে।

এরপর তার মেবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে পাইলট স্কুলের পূর্বপাশ থেকে ২ বোতল ফেনসিডিল সহ মিঠুকে আটক করে।পরে মিঠু ও এরশাদের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ব্যবসার মূলহোতা মিল্টনকে মাছ বাজারের সামনে থেকে আটক করা হয়।আটকের পর মিঠু ও এরশাদকে বদলগাছী - নওগাঁ সড়কের পাশে পেট্রোল পাশ্প এলাকায় নিয়ে গিয়ে রফাদফা করে ছেড়ে দেয়। এবং মিল্টনকে স্টেডিয়ামের মধ্যে নিয়ে গিয়ে মোটা অংকের টাকায় রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এছাড়াও এদিন পাইলট স্কুল মাঠ হতে বৈরাগীপাড়া দিঘিরপাড়ের কাঞ্চন মন্ডল নামের এক চপবিক্রেতাকে বাংলামদ সহ আটক করে তার কাছে থাকা ৩৬শত টাকা সহ মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের তথ্যমতে ৪ মাদক ব্যবসায়ীর নিকট হতে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।মাদক ব্যাবসায়ী এরশাদ হোসেন আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকের পর কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। তাছাড়াও কিছু টাকা লেগেছে। তবে ফেনসিডিলগুলো মূলত আমার ছিলনা। আমি আর এসব ব্যবসা করিনা। তবে একজন ফোন দিয়ে বলল একজায়গায় ৫ পিচ মাল আছে একটু এনে দাও। আমি সরল মনে তার কথা শুনে মালগুলো এনে দিয়ে ফেঁসে গেছি। তবে কি পরিমান টাকা লেগেছে তা বলতে তিনি রাজি নন।

মিঠু হোসেন আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মূলত মিল্টন ভাইয়ের আন্ডারে কাজ করি আমাদের পেট্রোলপাম্পের ওখানে রেখে মিল্টন ভাইয়ের সঙ্গে টাকা লেনদেন করে তারপর ছেড়ে দিয়েছে। তবে কত টাকা নিয়েছে তা বলতে পারব না।

মিল্টন হোসেন বলেন, আমার নিটক কোন মাদক না পেলেও আটক করে স্টেডিয়াম মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে টাকা দাবী করেন কিন্তু আমি কোন টাকা দেয়নি।

এএসআই মুকুল হোসেন বলেন, ওইদিন আমি নওগাঁ থেকে বাহিরে কোথাও কোন অভিযানে যাইনি এবং কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আটকও করা হয়নি। তাহলে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার তো কোন প্রশ্নই আসেনা।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ মান্নান বলেন, অফিসিয়াল ভাবে ডিবির কোন টিম ওইদিন বদলগাছীতে অভিযানে যায়নি। তবে বিষয়টির সত্যতা আমি তদন্ত করে দেখব।