নিয়ামতপুরে দু'জন হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম (৫৫) ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুল হক (৫৫) দু'জন ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে লালচানসহ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ফাঁসি চেয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

তৈয়বুর রহমান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধিঃনওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলাম (৫৫) ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজিজুল হক (৫৫) দু'জন ব্যক্তির হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে লালচানসহ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ফাঁসি চেয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। নিহত দু'জন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বারোটার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের তিনমাথা মোড় হতে থানার গেটে এসে লালচানসহ সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
এসময় বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক নারী ও পুরুষ পেশাজীবি, সুশীল সমাজের নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়। পরে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমানে অনুরোধে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার বনবিভাগের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার(১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল ৬জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) জাকির হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনের আওতায় এনে এদের বিচার হবে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিহত শরিফুল ইসলামের বোন শরিফা বেগম বলেন, আমার ভাইকে লালচানের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। কুপিয়ে আমার ভাইদের হত্যা করেছে। আমাদের একটাই দাবি এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি চাই।
একই গ্রামের সুমন নামের একজন বলেন বলেন, এরা মানুষরুপী জানোয়ার। কেউ কি এভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। আমরা তাদের আইনের মাধ্যমে ফাঁসি দাবি করছি।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আজ সকালে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত দুজনকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ১২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।