চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এমন কাণ্ডে এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড় শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬৩ নম্বর মোশরিবোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানাউল হকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এমন কাণ্ডে এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষককে আটক করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার কুন্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬৩ নম্বর মোশরিবোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সানাউল হক। অন্য স্কুলে শিক্ষকতা করলেও চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারিতে এ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সানাউল হক যোগদান করেন। গেল ২৮ আগস্ট সব ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শেষ হলেও চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বসিয়ে রেখে দেন ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বাবা সোহেল রানা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো বিচার হয়নি ওই শিক্ষকের। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে আসলে এলাকার স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই বিদ্যালয় ঘেরাও করে। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মোশরিবোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দীন ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ওই শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে যেটি করেছেন সেটি খুব খারাপ করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক সানাউল হক বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, এমন ধরনের কাজ আমার দ্বারা হয়নি। আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, ওই বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক সানাউল হককে স্থানীয়রা আটকিয়ে রাখে। পুলিশ ৯৯৯ কল পেয়ে সেখান থেকে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিমল কুমার কুন্ডু জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।