চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি-শিক্ষক পরিবারকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিজিবিতে কর্মরত এক সদস্য ও শিক্ষক পরিবারকে ঘিরে মাদকে সংশ্লিষ্টতার প্রচারণা ও হয়রানীর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিজিবিতে কর্মরত এক সদস্য ও শিক্ষক পরিবারকে ঘিরে মাদকে সংশ্লিষ্টতার প্রচারণা ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজশাহীতে কর্মরত বিজিবি সদস্য শহিদুল ইসলামের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিবি সদস্য শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা ইয়াসমিন। এসময় তিনি বলেন,শহিদুল ইসলাম সুমন দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবিতে চাকুরি করছেন। তার পিতা মেরাজুল ইসলাম অবরসপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক হওয়ায় পারিবারিকভাবেও সুনাম রয়েছে তাদের। পাশাপাশি সুমনের অন্য ভাইয়েরাও সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠিত ও যে যার পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু বসতভিটা নিয়ে মিজানুরের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এই পরিবারকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদক সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা-বানোয়াট প্রচারণা চালিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র করছে তার আপন ভাইরাভাই জেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় ৪-৫টি মাদক মামলার আসামী চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গা এলাকার মিজানুর রহমান মিজানের সাথে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কিছু অসাধু ব্যক্তিকে দিয়ে বিজিবি সদস্য শহিদুল ইসলাম সুমনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রচার করছে।
এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদস্য শহিদুল ইসলাম সুমনের স্ত্রী রহিমা ইয়াসমিন, শহিদুলের পিতার পল্লী চিকিৎসক ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মেরাজুল ইসলাম মাস্টার,তার ভাই আবুল কালাম আজাদ।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান মিজানের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।