মাইগ্রেনের ৭ অজানা কারণ যা অনেকেই জানেন না

মাথাব্যথা অনেকেরই পরিচিত সমস্যা। কিন্তু সব মাথাব্যথা এক ধরনের নয়। বিশেষ করে ‘মাইগ্রেন’ নামক মাথাব্যথা সাধারণ মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই আলাদা

মাইগ্রেনের ৭ অজানা কারণ যা অনেকেই জানেন না
সংগ্রহীত ছবি

মাথাব্যথা অনেকেরই পরিচিত সমস্যা। কিন্তু সব মাথাব্যথা এক ধরনের নয়। বিশেষ করে ‘মাইগ্রেন’ নামক মাথাব্যথা সাধারণ মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই আলাদা।

এ নিয়ে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মনসুর আলী। নিচে তুলে ধরা হলো মাইগ্রেন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

মাইগ্রেনের লক্ষণ:

- মাথার একপাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা (বিশেষ করে বাম পাশ বা পিছনে)

- ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, দৃষ্টির সমস্যা,আলো-আবেগে সংবেদনশীলতা

- অতিরিক্ত ঘাম বা ঠান্ডা লাগা

- মনোযোগহীনতা,পেট ব্যথা,ডায়রিয়া

- একাধিক উপসর্গ একসঙ্গে দেখা যেতে পারে

- মাইগ্রেনের সম্ভাব্য কারণ

- মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যক্রম (স্নায়ু ও রক্তনালিতে প্রভাব)

- ঘুমের ঘাটতি বা অনিয়মিত ঘুম

- হরমোন পরিবর্তন,বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র চলাকালীন

- মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা হঠাৎ শারীরিক ধকল

- খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম,যেমন পানিশূন্যতা,অতিরিক্ত চা/কফি, ফাস্টফুড

- পরিবেশগত পরিবর্তন,যেমন রোদ-ছায়া, গরম-ঠান্ডা পরিবেশের হঠাৎ পরিবর্তন

চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন?

নিচের যে কোনো লক্ষণ থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন :

- ঘন ঘন বা তীব্র মাথাব্যথা

- এক মাসে ৫ বারের বেশি মাইগ্রেন অ্যাটাক

- বমি বমি ভাবসহ তীব্র মাথাব্যথা

- মুখ বা হাত অবশ হওয়া (প্যারালাইসিস)

- কথা জড়ানো বা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া

- তীব্র জ্বরসহ মাথাব্যথা বা আগে না হওয়া ব্যথার নতুন ধরন

চিকিৎসা ও প্রতিরোধে যা করতে হবে

- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো

- অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম

- অতিরিক্ত আলো বা শব্দ এড়িয়ে চলা

- গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় সরাসরি না যাওয়া

- নিয়মিত পানি পান

- মাথায় ঠান্ডা পানি বা কাপড় ব্যবহার করা

- স্ক্রিন টাইম (মোবাইল/কম্পিউটার) কমানো

- সময়মতো খাওয়া, খাবারে নিয়ম মেনে চলা

মনে রাখবেন, মাইগ্রেনের নির্দিষ্ট ও স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও নিয়ম মেনে চললে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুরু থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে মাইগ্রেন দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।সূত্র কালবেলা