সকালে ডিম খাওয়ার ৫ উপকারিতা

মুরগির ডিম বেশি খেলে অনেকে কোলেস্টেরলের কারণে চিন্তায় পড়ে যান। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। সেখানে কোয়েলের ডিম কম কোলেস্টেরল এবং বেশি পুষ্টি দিয়ে এখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সকালে ডিম খাওয়ার ৫ উপকারিতা
সংগ্রহীত ছবি

আমরা সবাই জানি, ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে জানেন কি, মুরগির ডিম ছাড়াও এমন একটা ছোট ডিম আছে, যেটা পুষ্টিগুণে অনেক বেশি এগিয়ে? হ্যাঁ, বলছি কোয়েলের ডিমের কথা।

মুরগির ডিম বেশি খেলে অনেকে কোলেস্টেরলের কারণে চিন্তায় পড়ে যান। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। সেখানে কোয়েলের ডিম কম কোলেস্টেরল এবং বেশি পুষ্টি দিয়ে এখন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চলুন জেনে নিই সকালে কোয়েলের ডিম খেলে ঠিক কী কী উপকার পাওয়া যায়—

১. কম কোলেস্টেরল, বেশি প্রোটিন

তুলনামূলকভাবে কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম (মাত্র ১.৪%), আর মুরগির ডিমে সেটা প্রায় ৪%।

প্রোটিনও মুরগির ডিমের থেকে প্রায় ৭% বেশি, যা শরীর গঠনের জন্য দারুণ উপকারী।

২. পুষ্টির পাওয়ার হাউস

কোয়েলের ডিমে থাকে—

- প্রোটিন

- ভিটামিন

- মিনারেল

- এনজাইম

- অ্যামাইনো অ্যাসিড

এই উপাদানগুলো এমনভাবে মিশে থাকে যে শরীরের ঘাটতি পূরণ করে এনার্জি বাড়ায়, কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৩. ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর

কোয়েলের ডিমে যা যা বেশি পাওয়া যায়:

ভিটামিন বি-১ : মুরগির ডিমের চেয়ে ৬ গুণ বেশি

আয়রন ও ফসফরাস : ৫ গুণ বেশি

ভিটামিন বি-২ : ১৫ গুণ বেশি

এগুলো শরীরের জন্য ভীষণ দরকারি, বিশেষ করে যারা দুর্বলতা বা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

এই ছোট্ট ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ফলে শরীর নিজে থেকেই অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

৫. বাচ্চাদের জন্য দারুণ উপকারী

শুধু বড়দের নয়, বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক ও বুদ্ধির বিকাশেও কোয়েলের ডিম খুব সাহায্য করে। দুর্বল শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও দিনে ৩-৪টি কোয়েলের ডিম খেতে পারেন।

ছোট, কিন্তু শক্তিশালী—এভাবেই বলা যায় কোয়েলের ডিমকে। যারা স্বাস্থ্য সচেতন, যাদের কোলেস্টেরল নিয়ে দুশ্চিন্তা, কিংবা যাদের শরীরে দুর্বলতা আছে—তাদের জন্য কোয়েলের ডিম হতে পারে দারুণ একটি খাবার।

তাই প্রতিদিনের নাশতায় বা সকালের শুরুতে কোয়েলের ডিম রাখতে ভুলবেন না।

সূত্র: হেল্থ শটস