শিবগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন তালাবদ্ধ তামিমের পাশে ইউএনও আবুল হায়াত
তামিমকে দুই বছর থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখা হয় অমিত ছেলে ভারসাম্যহীন খবর পেয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
রশুদ্দীন মিয়া বয়স আনুমানিক ষাট,দীনমজুর। শারীরিক ভাবে অক্ষম ২ ছেলে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খাবার যোগাতে হিমসিম খেতে হয় তাকে। থাকেন রানীবাড়ি চাঁদপুর গ্রামে। অনেক কষ্টে দিন পার করছে তার পরিবার। শুধু তাই নয় এক ছেলে তামিমকে দুই বছর থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখা হয়। অন্য ছেলে অমিত ভারসাম্যহীন। খবর পেয়ে শনিবার ছুটির দিন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীবাড়ীগ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলার এই মানবিক কর্মকর্তাকে দেখে হুহু করে কেঁদে ফেলেন রশুদ্দীন মিয়ার স্ত্রী। ইউএনও অনুদান হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, ছোলা, পেয়াজ ও নগদ অর্থ সহায়তা নিজেই পৌঁছে দেন এই অসহায় ব্যক্তির বাসায়। ইউএনও এর সহায়তা পেয়ে রশুদ্দীন মিয়ার স্ত্রী বলেন, আল্লাহ আপনাকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক। যে মা এমন ছেলে গর্ভে ধারণ করেছে, আল্লাহ যেন সেই মাকে ভালো রাখেন।
শুধুমাত্র রশুদ্দীন মিয়াই নন-কয়েকদিন আগে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে বেলাত আলীর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী অসহায় সবুজ আলির মুখে হাসি ফুটাতে এক মাসের খাদ্য সহায়তা তুলে দিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এসব খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুঁশিতে ইউএনওকে জড়িয়ে ধরেন সবুজ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত বলেন, আমি আমার সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।