শিবগঞ্জে বেতনের টাকায় অসহায়দের জন্য খাদ্য সহায়তা সানাউল্লাহর
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নবাসী একজন যোগ্য নেতৃত্ব চান, সানাউল্লাহ'কে। বেতনের পুরো টাকায় খাদ্য ও চাল বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছেন এই বিএনপি নেতা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নবাসী একজন যোগ্য নেতৃত্ব চান, সানাউল্লাহ'কে। বেতনের পুরো টাকায় খাদ্য ও চাল বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছেন এই বিএনপি নেতা।
নিজের উপার্জিত পুরো মাসের বেতনের টাকা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ করে আসছেন বিএনপি নেতা মো. সানাউল্লাহ। আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একই কর্মসূচি ছিলো শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষের মাঝে খাদ্য ও চাল বিতরণ কর্মসূচি। অসহায় দরিদ্রের বাড়ি গিয়ে গিয়ে প্রায় দু'শ পরিবারের মাঝে দুপুরের খাদ্য চাল ও বিতরণ করেন তিনি। এইসময় সানাউল্লাহর খাদ্য ও চাল পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভালোবাসায় শ্রেদ্ধ হন ইউনিয়নবাসী তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান তারা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এমন মানবিক কাজ অব্যাহত রেখেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ। জনপ্রতিনিধি না হয়েও এমন কাজের কারনে তাকে নিয়ে গর্বিত স্থানীয়রা৷ নিজের বেতনের টাকা সমাজের অসহায় দরিদ্র খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ায় খুশি অসহায় অবহেলিত সুবিধাভোগীরা।
ইউনিয়নবাসীরা জানান, মোঃ সানাউল্লাহর সহযোগিতার হাত অনেক লম্বা। কেউ কখনো তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরে যায় না। এমনকি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে উজিরপুর ইউনিয়নের এমন কোন পাড়া মহল্লা নাই, যেখানে তরুণ-যুবকদের জন্য তিনি খেলাধূলার ব্যবস্থা করেননি। নিজের বেতনের টাকা দিয়ে এমন কাজ করার লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমন একজন বিএনপির নেতা আমাদের এই ইউনিয়নে আছে আমরা ভাবতে অবাক হচ্ছি।
এনিয়ে বিএনপি নেতা মো. সানাউল্লাহ জানান, আমি গত তিন বছর ধরে উজিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নিম্ন আয়ের প্রতিবন্ধী, অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করি। আগামীতেও এই খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত থাকবে আমার ইনশাআল্লাহ্। বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ আরও বলেন আমি একটি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করি। সেখান থেকে পাওয়া বেতনের পুরোটাই প্রত্যেক মাসে এভাবেই খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ করে দেয়" অসহায় গরীব দুঃখিনীর মাঝে । তবে এসব খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণের বিনিময়ে আমার কোন প্রত্যাশা নেই। আমি চাই আমার এই ইউনিয়নের লোক সর্বোপরি ভালো থাকুক এই প্রত্যাশা করেন তিনি।