চাঁপাইনবাবগঞ্জে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের পর যুবতীকে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় দেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের পর যুবতীকে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের পর যুবতীকে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তাদের অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো ৪ জনকে খালাস দেন আদালত।

বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আখিরা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে হেলাল আলী (৪০), একই এলাকার মো. মন্টুর ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে সাদ্দাম (৩৬), মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. আওয়াল হোসেন (৫০) ও আতাউর রহমনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হলে নিখোঁজ হন ২৬ বছরের এক যুবতী। ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে আখিরা এলাকার একটি আখ ক্ষেতে ফেলে রাখেন আসামিরা। পরের দিন ১০ আগস্ট খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেই দিনই ওই যুবতীর বাবা মো. আলাউদ্দীন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এনামুল হক আরো বলেন, শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে হত্যা মামলায় আসামি হেলাল আলী, মোহাম্মদ আলী ও আওয়াল হোসেনকে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক আসামি আব্দুল জলিলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক আরো বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আরো একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদলত। তিনি জানান, দণ্ডিত ব্যক্তিদের সকল সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ আছে।

মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন- জাকারিয়া, শাহজাহান আলী, আজিজ আলী ও রায়হান আলী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দেন বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।