‎দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো-আতঙ্কে স্কুলশিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া নদীর ওপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে

‎দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো-আতঙ্কে স্কুলশিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা

মোঃ সজিব সরদার ‎পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া নদীর ওপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে শ্রীরামপুর ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের দুই পাড়ের শতাধিক মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্করাও। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭ নম্বর পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর ওপর কয়েক বছর আগে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ ও কাঠ সংগ্রহ করে সাঁকোটি নির্মাণ করেন এলাকাবাসী। মূলত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের সুবিধার্থেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে গত ৩ থেকে ৪ বছর ধরে কোনো ধরনের সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সাঁকোর বিভিন্ন অংশ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে।

‎বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ ঝর্ণা বেগম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সাঁকোটির কোনো মেরামত হয়নি। অনেক জায়গা দুর্বল হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

‎স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর আলম খান, আবুল কালাম হাওলাদার, কামাল হাওলাদার, আলী মৃধা ও নয়ন মৃধা জানান, সাঁকোটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশ, কাঠ ও গুণা কিনতে বড় অঙ্কের অর্থ লাগে। এককভাবে কারও পক্ষে তা বহন করা সম্ভব নয়। তবে সরকারি বা স্থানীয় সহায়তা পেলে তারা নিজেরাই শ্রম দিয়ে সংস্কার করতে প্রস্তুত।

এ বিষয়ে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, “এটি দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট সীমিত হলেও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুত সাঁকোটির জরুরি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‎এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।‎