কখনো আপস করেননি খালেদা জিয়া

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী

কখনো আপস করেননি খালেদা জিয়া

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী। তাকে দেশের মানুষ খেতাব দিয়েছে আপসহীন নেত্রী। দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মানুষ। ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে যোগ দিয়েই এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে কয়েকবার কারাবরণ করেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তাকে দেশ ছাড়তে চাপ দেওয়া হলেও তিনি দেশ ছাড়েননি। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা অন্যায় ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে টানা সাত বছর বন্দিদশা কাটিয়েছেন। তবু খালেদা জিয়া আপস করেননি।

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে শহীদ হন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তখন দুই সন্তানকে নিয়ে খালেদা জিয়া অবস্থান করছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে। সে সময় বিএনপি ছিল বিপর্যস্ত। দলের হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।

এর ছয় মাস পর, ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি, খালেদা জিয়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তিনি প্রশংসা অর্জন করে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। পরে ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন এবং একই বছরের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরই নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া ইন্তিকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সূত্র_কালের কন্ঠ