গোমস্তাপুরে ব্রিধান-৭৫ কাটার উদ্বোধন
গোমস্তাপুরের পার্বতীপুরে ব্রিধান-৭৫ এর নমুনা কাটার মাধ্যমে রোপা আমন ধান কাটার উদ্বোধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের পার্বতীপুরে ব্রিধান-৭৫ এর নমুনা কাটার মাধ্যমে রোপা আমন ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দেওপুরা মাঠে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান।
পরে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোমস্তাপুরের আয়োজনে একই স্থানে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের ধান গবেষণা করে আসছে। তাদের উদ্ভাবিত ব্রিধান-৭৫ উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই ধানটি উৎপাদন করতে পারছে। কৃষকরা ধান কেটে অন্যান্য ফসল করতে পারবে। তিনি বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ কৃষির বিপ্লব ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জমি পতিত না থাকে সেজন্য কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিচ্ছেন। কৃষক ও কৃষির উন্নয়ন ঘটেছে। জমিতে উৎপাদন বেড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
জিয়াউর রহমান আরো বলেন, দেশ আজ নি¤œআয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা এখন স্মার্ট কৃষকে পরিণত হয়েছেন। কৃষক সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের কলাকৌশল ও সমস্যা সমাধান পেয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফিরোজ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, ইউপি সদস্য ইনাইমূল হক, কৃষক বিকাশ খালকোসহ অন্যরা।
দেওপুর মাঠের কৃষক বিকাশ খালকো বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৫ বিঘা জমিতে এই ধান চাষাবাদ করেছি। মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা তৈরি করা যায়। ধান পাকা অবস্থায় পড়ে যায় না। ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। জীবনকাল কম হওয়ায় অন্য ফসল করা যাবে। খরচ মোটামুটি কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, কৃষকদের বীজসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আগে এসব জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষাবাদ করতেন কৃষক। এখন স্বল্পজীবনকালীন ব্রিধান-৭৫ চাষ করে খুশি গোমস্তাপুরের কৃষকরা। তিনি বলেন, ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মাথায় এই ধান কাটা যায়। বিঘাপ্রতি উৎপাদন ১৮ থেকে ২০ মণ। এ ধান করে সরিষা, গম, আলুসহ রবিশস্য আগাম করা হয়। কৃষকরা লাভবান হয়।