চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের নিজেদের বীরত্বগাথা শোনালেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে যুদ্ধের বীরত্বগাথা শুনিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে যুদ্ধের বীরত্বগাথা শুনিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শিক্ষার্থীরাও শুনেছেন সে বীরত্বগাথা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নানান ঘটনাবলি তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুখলেসুর রহমান।
তাঁরা জানান, কিভাবে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন কিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, কিভাবে তাদের চোখের সামনে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শত্রুর বুলেটে শহীদ হয়েছেন, কিভাবে তাঁদের সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর হোসেন শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেনÑ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উন্নয়ন, পরিকল্পনা, এস্টেট ও কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ও সরকারের উপসচিব মো. রুবাইয়াত শামীম চৌধুরী। সূচনা বক্তব্য দেন- ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. নূরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রওশন আলী।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন’ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানে আলোচনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গল্পবলা শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং তাদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হন এবং ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এক স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার কারিগর হবে আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই তাদেরকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।