চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভাগীয় কমিশনারের সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, যৌতুক, জঙ্গিবাদ ও মাদক প্রতিরোধে সচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবুল কালাম সাহিদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আখতার। সূচনা বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন।
সভায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাল্যবিয়ের পর বিচ্ছেদের শিকার কর্মজীবী নারী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিব, অভিভাবক, ইমাম ও পুরোহিত, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, কাজী ও বিয়ে রেজিস্ট্রারসহ সরকারি কর্মকর্তারা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এ ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান গ্রামপর্যায়ে করলে অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন করা যাবে বলে মত প্রকাশ করেন তারা।
বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে আলোচ্য বিষয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় মাদকের সহজলভ্যতা রয়েছে। মাদক এমনই একটি জিনিস, যা অন্য অপরাধ করতে মানুষকে উৎসাহিত করে। মাদকের কারণে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে, সন্তান তার পিতাকে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আর বাল্যবিয়ে আমাদের নারীদের উচ্চ শিক্ষা থেকে শুধু বঞ্চিতই করে না, দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় যৌতুক দিতে না পারার কারণে তালাকের শিকার হতে হয়। তিনি বলেন- ধর্মীয়ভাবেই জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। কোনো ধর্মই মাদক কিংবা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন- মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে। কাজেই মানুষের কাজ হবে যা কিছু অন্যায়, যা কিছু খারাপ তার বিরুদ্ধে কাজ করা। কাজেই আসুন, সবার সমিম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, যৌতুক, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলি। এসময় তিনি কোনো রেস্টুরেন্ট বা অন্য কোথাও গোপনীয় কক্ষ থাকলে তা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেন।