যে ১২ বদভ্যাসে নিজের বারোটা বাজাচ্ছেন
নিজের অজান্তেই আপনি এমন সব অভ্যাসে অভ্যস্ত, যা আপনার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছে সময় থাকতে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করুন। জেনে নেওয়া যাক কী সেই ১২ অভ্যাস
যে ১২ বদভ্যাসে নিজের বারোটা বাজাচ্ছেন
নিজের অজান্তেই আপনি এমন সব অভ্যাসে অভ্যস্ত, যা আপনার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। সময় থাকতে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করুন। জেনে নেওয়া যাক কী সেই ১২ অভ্যাস।
১. স্ক্রলিং
মনে করুন, রাত ১০টায় ঘুমাতে গেলেন। ভাবলেন, ফেসবুকটা একটু ঘুরে আসি। নোটিফিকেশনগুলো চেক করেই ঘুমিয়ে পড়ব। তারপর একসময় আপনি ঘড়ির দিকে তাকালেন, ১টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি।
২. ঘুম থেকে উঠেই ফোন চেক করা
এই ভুলটা ভুলেও করবেন না। দিনের সবচেয়ে সুন্দর আর ইতিবাচক সময় সকাল। সকালে উঠেই ফোন হাতে তুলবেন না।
৩. মানুষকে বিচার করা
এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদেরকে আরও বেশি করে এই বাজে অভ্যাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনি যখন জাজমেন্টের শিকার হন, তখন কেমন লাগে?
৪. দেরি করা
দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া, সকাল ১০টায় ঘুম থেকে ওঠা, ভাইভা দিতে গিয়েও দেরি, অফিসে দেরি, বাচ্চার জন্মদিনের পার্টিতে দেরি—এভাবেই আপনি ক্রমেই জীবন থেকে ছিটকে পড়েন।
৫. বাজে সঙ্গ
দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আপনার যদি কোনো ভালো বন্ধু না থাকে, যদি একটাই বাজে বন্ধু থাকে, আপনি ওই সঙ্গ ছাড়ুন। বইপড়া, গাছের যত্ন নেওয়া, সিনেমা দেখা, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, নতুন কিছু শেখা, পার্কে হাঁটতে যাওয়া, গান শোনা বা কোনো একটা কোর্সে ভর্তি হয়ে যাওয়া—একাকীত্ব কাটাতে কতকিছুই তো করার আছে।
৬. অজুহাতের সদ্ব্যবহার
আপনি যদি অভিযোগ আর অজুহাত দিয়েই চলতে থাকেন, তাহলে আপনি পরিণত ব্যক্তিত্ব নন। জীবনযুদ্ধে পিছিয়ে পড়াদের সঙ্গে যোগ দেওয়া ছাড়া আপনার গতি নেই।
৭. চিনি খাওয়া
পরিশোধিত চিনি খাওয়া বাদ দিন। বাদ দিতে না পারলে কমিয়ে ফেলুন। শারীরিকভাবে ভালো থাকবেন।
৮. জাঙ্ক ফুড খাওয়া
জাঙ্ক ফুডে যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা অনেক সময় স্বাস্থ্যকর নয়। ক্যালরির পরিমাণও অনেক বেশি। চিনি, লবণ, তেল—যে তিনটি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তার সবই এখানে বেশি থাকে।
৯. সবকিছুতেই ‘হ্যাঁ’ বলা
আপনি কি সবকিছুতেই হ্যাঁ বলে ফেলেন। না বলতে শিখুন। নইলে বিপদে পড়বেন। অথবা কে জানে, ইতিমধ্যে বিপদে পড়েও হয়তোবা আপনার শিক্ষা হয়নি।
১০. খারাপটাই ধারণা করা
মনে করুন, আপনার কোনো একটা ক্লায়েন্টের মিটিংয়ে আসতে দেরি হচ্ছে। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি কেন ধরে নেবেন, তিনি আপনাকে উপেক্ষা করছেন? হয়তো তাঁর কোনো কারণে আসতে দেরি হচ্ছে, তাড়াহুড়োয় খেয়ালই করেননি যে ফোনটা সাইলেন্ট। ইতিবাচকতা ধরে রাখুন।
১১. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
আরেক শ্রেণির মানুষ আছেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাঁদের স্বভাব। জীবনে ঘটেনি, এমন সব বিষয় চিন্তা করে তাঁরা দিনের একটা বড় অংশ তো নষ্ট করেনই, সেই সঙ্গে নষ্ট করেন নিজের মানসিক আর শারীরিক স্বাস্থ্য ও সৃজনশীলতা।
১২. ‘একটু পরে করছি
এই ‘একটু পরে করছি’ বলে যে কাজগুলো আপনি ফেলে রাখেন, সেগুলোর কতটি আপনি পরে করেন, ভেবে দেখেছেন?
সূত্র: অপরচুনিটিস টিপস