ইউএনও’র হুঁশিয়ারি টপকে দুমকীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ অব্যাহত
সরকারি অর্থায়নে হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্য ‘টেকসই উন্নয়ন’। বাস্তবে নির্মাণে নেই মানের নিশ্চয়তা, নেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার প্রতিফলন

মোঃ সজিব সরদার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সরকারি অর্থায়নে হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্য ‘টেকসই উন্নয়ন’। বাস্তবে নির্মাণে নেই মানের নিশ্চয়তা, নেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার প্রতিফলন। পটুয়াখালীর দুমকীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি কাঁচা রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান মেসার্স গাজী এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুজ্জামান। তবে তিনি কাজটি সাব-কন্ট্রাক্টে দেন আমির ও জুয়েল নামের দুই যুবককে।
প্রকল্প দুটি হচ্ছে—শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে তারা গাজীর বাড়ি থেকে খানবাড়ি মসজিদ হয়ে কচ্ছপিয়া খাল পর্যন্ত এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডে এনায়েত খানের মসজিদ থেকে বাদুয়া পাকা সড়ক পর্যন্ত।
কাজ শুরুর পর থেকেই এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই-তিন নম্বর মানের ইট, বালুর পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং রোলার ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে নির্মাণের স্থায়িত্ব নিয়ে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা।
গত সপ্তাহে ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল হক সরেজমিন পরিদর্শন করে নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে পরদিন থেকেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়দের দাবি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থেকে সাব-ঠিকাদাররা এসব অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুমকী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী বলেন, ‘২০ মে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। এক নম্বর ইট ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নির্মিত অনিয়মিত অংশ ভেঙে নতুনভাবে করতে বলা হয়েছে।
গাজী এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করিনি। সাব-কন্ট্রাক্টে দেওয়া হয়েছে। তাদের ভুল থাকলে সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হবে।
ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহার চলবে না। কাজ মানসম্মত না হলে বিল আটকে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পুরো রাস্তা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করতে হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে এভাবে অনিয়ম চলতে থাকলে প্রকল্পের গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ হবে। টেকসই উন্নয়ন কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।