ঐকমত্য কমিশন ঐক্যের বদলে‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে-সালাহউদ্দিন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

ঐকমত্য কমিশন ঐক্যের বদলে‘জাতীয় অনৈক্যের’ প্রচেষ্টা নিয়েছে-সালাহউদ্দিন
সংগ্রহীত ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ না দিয়ে উপায় নেই। কেন ধন্যবাদ দিচ্ছি? অবশেষে তারা তাদের প্রক্রিয়া বা কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পেরেছে।

দ্বিতীয়বার ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, “এবার ধন্যবাদ দিচ্ছি কারণ—তারা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বদলে ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। আমরা যে জুলাই জাতীয় সনদ সই করেছি, সেই সনদবহির্ভূত অনেক আদেশ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এমন প্রতিক্রিয়া দেন।

ঐকমত্য কমিশনের একটি সুপারিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৯০ দিন বা ২৭০ দিনের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিবর্তন হবে—এমন সুপারিশ হাস্যকর।

বৈঠক সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করলেও প্রত্যেক দল নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করা উচিত—এমন বিধানে আরপিওর আগের আইন বহাল রাখার অনুরোধ জানাতে আইন উপদেষ্টার কাছে এসেছি। আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমরা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করব।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো দল বলেনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অবশ্যই হবে—সরকারের এই প্রস্তুতিতে আমরা আশ্বস্ত।’

নির্বাচনী জোট নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে এনসিপি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করবে কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি।

চাঁপাই প্রেস/সূত্র_কালের কণ্ঠ