আঙুল মটকাচ্ছেন? এটি ডেকে আনতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

মাঝে মাঝে কেউ কেউ আঙুল মটকান (Finger Cracking)। অনেকের এই অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই তৈরি হয়ে যায়। ফলে বড় হয়ে সেই অভ্যাস খুব সহজে সেই সকল ব্যক্তিরা ত্যাগ করতে পারেন না।

আঙুল মটকাচ্ছেন? এটি ডেকে আনতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সংগ্রহীত ছবি

মাঝে মাঝে কেউ কেউ আঙুল মটকান (Finger Cracking)। অনেকের এই অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই তৈরি হয়ে যায়। ফলে বড় হয়ে সেই অভ্যাস খুব সহজে সেই সকল ব্যক্তিরা ত্যাগ করতে পারেন না।

অনেকে একেবারেই নিছক অভ্যাসের বশে মাঝে মাঝেই আঙুল চোষেন, মাঝে মাঝে দাঁত দিয়ে নখ কাটেন, আবার মাঝে মাঝে কেউ কেউ আঙুল মটকান (Finger Cracking)। অনেকের এই অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই তৈরি হয়ে যায়। ফলে বড় হয়ে সেই অভ্যাস খুব সহজে সেই সকল ব্যক্তিরা ত্যাগ করতে পারেন না। অনেকে বলেন, বেশি পরিমাণে আঙুল মটকালে হাড়ের ক্ষয় হয়। এটা কি সত্যি?

আসলে আঙুল মটকালে একখানা শব্দ হয়। আঙুল মটকালে যে শব্দ হয়, সেটা হাড়ের ঘষা থেকে নয়। আঙুলের জয়েন্টে থাকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড (এক ধরনের এমন তরল যা হাড়ের নড়াচড়া সহজ করে)। চাপ দিলে ওই তরলে ছোট ছোট বুদবুদ ফেটে যায় আর সেই শব্দই শোনা যায়। গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত আঙুল মটকালে সেই অর্থে আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে না। তবে বারবার আঙুল মটকালে জয়েন্ট ফুলে যেতে পারে বা গ্রিপ কমে যাওয়ার মতো অস্বস্তি হতে পারে।

আঙুল মটকানোর সময় যদি ব্যথা অনুভব করেন, যদি ফোলা বা শক্তভাব অনুভূত হয়, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। আঙুল মটকাতে গিয়ে আচমকা আঙুল আটকে যাওয়া বা অস্বাভাবিক শব্দ হলে সেটাও উপেক্ষা করবেন না। আঙুল মটকানোতে সরাসরি কোনও ক্ষতি নেই, তবে বেশি করলে জয়েন্টে চাপ পড়তে পারে। যার ফলে ধীরে ধীরে আঙুলের হাড়ে সমস্যা হতে পারে। তাই একে অভ্যাসে না পরিণত করাই ভালো। আর যদি হাতের ক্লান্তি কমাতে চান, তাহলে হালকা ফিঙ্গার এক্সারসাইজ বা স্ট্রেচিং অনেক বেশি উপকারী।

সূত্র-tv9bangla