চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর তীব্র সঙ্কট
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দেয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব সামগ্রীর মজুত কমে গিয়ে এই সঙ্কট আরও তীব্র আকার ধারন করে। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় সরকারি কোন কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মীরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কমডম, ইনজেকশনসহ অন্যসব সামগ্রী সরবরাহ নেই। যার কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব সঙ্কটের নিরসন হয়ে যাবে।
সরকারের ওয়েবসাইট সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে গর্ভনিরোধ সামগ্রীর সঙ্কট চরমে। জেলার গোমস্তাপুর ছাড়া অন্য কোনো উপজেলায় কনডমের সরবরাহ নেই। সুখী বড়ি গোমস্তাপুর আর ভোলাহাট ছাড়া অন্য তিন উপজেলায় নেই। ইসিপি খাবার পিল পাওয়া যাচ্ছে শুধুমাত্র ভোলাহাটে।
শিবগঞ্জের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ করছি কনডম নেওয়ার জন্য। কিন্তু পাইনি। মাঠকর্মীরা বলছেন, ওষুধ মজুত নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বিনামূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারলে, জেলার জনসংখ্যায় বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। কারণ নিম্নআয়ের মানুষরা বাজার থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী কিনে ব্যবহার করবে না।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- তাদের কাছে কনডম, ইনজেকশনসহ অনান্য জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে কর্মসূচির চলমান প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারীর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জেলায় অনেক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সঙ্কট শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব সামগ্রীর মজুত কমে গিয়ে চরম সঙ্কট সৃষ্টি হয়। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় সরকারি কোন কনডম, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সরবরাহ নেই।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলা। এর মধ্যে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় জনসংখ্যার দিক দিয়ে অনেক বেশি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সেবা গ্রহণ করে থাকেন গড়ে এ জেলার ৭৮ শতাংশ মানুষ।