চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালিতলা বিলে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরার অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালিতলা বিলে (দ্বারিয়াপুর-হরিপুর বিল) বিষ প্রয়োগ করে মাছ,প্রকৃতির উপকারী জীব জন্ত সহ পোকা পাকড় নিধন করেছে বিল ইজারাদার

বদিউজ্জামান রাজাবাবু স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালিতলা বিলে (দ্বারিয়াপুর-হরিপুর বিল) বিষ প্রয়োগ করে মাছ,প্রকৃতির উপকারী জীব জন্ত সহ পোকা পাকড় নিধন করেছে বিল ইজারাদার। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে বিলের এক অংশে পলিথিন ও জাল দিয়ে এ বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।রোববার সকালে বিলে হাজার হাজার মরা মাছ ভেসে উঠলে তা ইজারাদারের লোকজন জাল দিয়ে ছেকে তুলে বাজার জাত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিলে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিলে বিষ প্রয়োগ কখনোই করতে পারবেনা, তাছাড়া বিষয়টি আমার জানা নেই আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় বিলের ইজারাদার মো. ওসমান গণি বাবু'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ছাড়া মাছ আমরা ধরবো না, তাকে প্রশ্ন করা হয়, তাই বলে বিলে বিষ প্রয়োগ কোন আইনে করেছেন, উত্তরে ইজারাদার বাবু উত্তিজিত হয়ে বলেন, এ ব্যাপারে জেলা/উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কাছে জানুন। তাকে জানানো হয় জেলা মৎস কর্মকর্তা বলেছেন বিলে বিষ প্রয়োগ কখনোই করা যাবেনা এটা বেআইনি। তখন তিনি হেঁসে আমতা আমতা করে বলেন,বিলের আশা আমরা এখনো ছাড়িনী এবং গোটা বিলে বিষ এখনো দেইনি বলে কথা এড়িয়ে যান।
জানা যায়, সদর উপজেলার দ্বারীয়াপুর-হরিপুর অবস্থিত কালিতলা বিলটি ২০২২ সালে ৩ বছর মেয়াদে উন্নয়ন খাতে লিজ নেয় নিবন্ধিত নামো
হরিপুর মৎস জীবি সমিতি লিমিটেড। এরপর থেকে বিলটিতে ইজারাদারের মাধ্যমে স্থানীয় বেশ কিছু লোক মৎস্য চাষ করে আসছে।
সামনে মৌসুমে মাছের প্রজনন বাড়ানোর জন্য আহরিত মাছগুলো বিলের একটি সংরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষণ করা আছে (মাছের অভয়ারণ স্থান)। ওই অবস্থায় এখানে বিষ প্রয়োগ করলে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার মাছ মারা পড়বে।
দ্বারীয়াপুর-হরিপুর কালিতলা বিলটি ৪ দফায় গত ১২ বছর থেকে লিজ নিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থিত হরিপুর মৎস জীবি সমিতি লিমিটেড মাছ চাষ করে আসছে। আগামী ১লা বৈশাখে তাদের লিজের মেয়াদ শেষ হবে। আগামী অর্থ বছরে তারা লিজ না পেয়ে বিলে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরছেন বলে অভিযোগ করেন বিল পারের বাসিন্দা মোঃ আলতাব আলী, তিনি বলেন এ বিলের দুই পারের হাজারও মানুষ গোসল করেন, বিলে বিষ দেওয়ার ফলে আমারা বিলে গোসলসহ মহিলারা কাপর কাঁচা, থালা মাজন ধুতে পারছেনা এছাড়াও বিলের আসেপাশে বেশ কিছু হাঁস মারা গেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোছা: এলিজা খাতুনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: তাসমিনা খাতুন বলেন বিলে বিষ প্রয়োগ বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ,এ বিষয়ে আমি জেলা ও উপজেলা মৎস কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।