নওগাঁয় ঘোড়া দিয়ে হাল চাষে সংসার চালাচ্ছে রবিউলের

যেখানে দিন দিন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির কৃষি উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে যাচ্ছে আর অপরদিকে দিকে বিলুপ্তর পথে গরু-মহিষ দিয়ে হাল চাষের প্রচলন

নওগাঁয় ঘোড়া দিয়ে হাল চাষে সংসার চালাচ্ছে  রবিউলের

এবিএস রতন স্টাফ রিপোর্টার  নওগাঁ:যেখানে দিন দিন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির কৃষি উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে যাচ্ছে  আর অপরদিকে দিকে  বিলুপ্তর পথে গরু-মহিষ দিয়ে হাল চাষের প্রচলন ।  আর আগের মতো গরু কিংবা মহিষ দিয়ে হাল চাষের দৃশ্য এখন সাধারণত চোখে পড়ে না। এ অবস্থায় ঘোড়া দিয়ে হাল চাষের দৃশ্য অনেকে কল্পনাও করেন না। কিন্তু নওগাঁর নিয়ামতপুর  উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের করমজাই গ্রামের রবিউল ইসলাম গরু-মহিষের বদলে ঘোড়া দিয়ে অন্যের জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

স্ত্রী, মা,  এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে রবিউলের পরিবার। বসতভিটা ছাড়া কোনো জায়গা জমি নেই। ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করেই সংসার চালান রবিউল। এক বিঘা জমি চাষ দিতে ২০০ টাকা নেন তিনি।

বৃহস্পতিবার চন্দননগর ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামে ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ করার সময় রবিউল এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমার নিজের কোনো জমি নেই। মানুষের জমি হাল চাষ করি। বিঘাপ্রতি ২০০ টাকা নিই।’ তিনি আরও বলেন, ‘গরুর চেয়ে ঘোড়া বেশি হাঁটাচলা করে। সে কারণে কম সময়ে অনেক বেশি জমি চাষ করা যায়। এক দিনে দুই থেকে তিন বিঘা পর্যন্ত জমি হাল চাষ করা যায়। আমি গরিব মানুষ। এই কাজ করে সংসার চালাই।’

বৃহস্পতিবার বেনীপুর এলাকার জমির মালিক কৃষক আতিকুর বলেন, ‘আমি ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করেছি। ঘোড়া অনেক শক্তিশালী প্রাণী। আমি প্রতি বছর আমার জমিতে ঘোড়া দিয়ে মই দিয়ে নিই। এতে জমির মাটি সবদিকে সমান হয়। এতে ফসল উৎপাদন হয় ভালো

তিনি আরও বলেন, ‘চাষের সময় দেখতে পেলাম ঘোড়ার শক্তি গরুর চেয়ে অনেক বেশি। ঘোড়া খুব দ্রুত হাঁটে, সে কারণে হাল চাষও দ্রুত হয়;  খুব ভালো হয়।’

একই গ্রামের আরেক কৃষক আলমগীর বলেন, পাওয়ার টিলার দিয়ে মই দিলে জমির মাটি ঢেউ ঢেউ  দেখায়। জমির মাটি সমান হয়না। কিন্তু ঘোড়া দিয়ে সম্পূর্ণ জমির মাটি একদম সমান হয়। যার কারণে আমরা ঘোড়া দিয়ে জমিতে মই দেই।