নওগাঁয় প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিশোরীকে দেওয়া হবে এইচপিভি টিকা
নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে
এবিএস রতন স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:নওগাঁয় এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম -২৪ উপলক্ষে (২৩ অক্টোবর) বুধবার বিকেল তিন টায় নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস আয়োজনে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুনির আলি আকন্দ, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আশীষ কুমার সরকার, ডিষ্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: জয়িতা সাহা।
ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, নারীদের জরায়ু মুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) বিরুদ্ধে এক ডোজ টিকাই যথেষ্ট। ১ মাস ব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি এবং বাকি দিনগুলোতে গ্রুপভিত্তিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনা মূল্যে টিকার আওতায় প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিশোরী কে আনার লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরো জানান, বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যেসকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার বা সার্ভিকাল ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে ছয় লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ করসারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় তিন লাখ নারী মৃত্যুবরণ করেন। এর প্রায় ৯০% বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা স্বল্লোন্নত দেশগুলোতে ঘটে থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী নিয়মিত পরীক্ষা (স্ক্রিনিং) এর পাশাপাশি এইচপিডি টিকাদানের মাধ্যামে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং এই ক্যান্সারজনিত মৃত্যু হ্রাস করা সম্বব। ধারণা করা হচ্ছে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী প্রায় সাত লাখ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন যাদের প্রায় চার লাখ মৃয়্যুবরণ করবেন এবং এর সিংহভাগই ঘাটবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে।