রক্তে কমছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা-বুঝবেন কীভাবে?

হিমোগ্লোবিন রক্তে উপস্থিত এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন। যা থাকে লোহিত রক্তকণিকার (RBC) মধ্যে। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়।

রক্তে কমছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা-বুঝবেন কীভাবে?
সংগ্রহীত ছবি

হিমোগ্লোবিন রক্তে উপস্থিত এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন। যা থাকে লোহিত রক্তকণিকার (RBC) মধ্যে। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে তাকে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া বলা হয়। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

১. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা – হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফলে সামান্য কাজেই দ্রুত ক্লান্তি আসে এবং দুর্বল লাগে।

২. শ্বাসকষ্ট – অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার কারণে হাঁটা বা সিঁড়ি ভাঙার মতো কাজেই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

৩. মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা – রক্তে অক্সিজেন কম থাকায় মস্তিষ্কে চাপ পড়ে, যার ফলে মাথা ঘোরা, ঝিমুনি এমনকি অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে।

৪. চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া – হিমোগ্লোবিন কমে গেলে রক্তে লাল কণিকার ঘাটতি হয়, ফলে ত্বক, ঠোঁট ও চোখের নিচের অংশ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

৫. হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় – শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য হৃদযন্ত্র দ্রুত কাজ করে, ফলে হার্টবিট বেড়ে যায়।

৬. চুল পড়া ও নখ ভেঙে যাওয়া – হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি চুল ও নখকে দুর্বল করে। নখ ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুল অস্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ে।

৭. ঠান্ডা লাগা ও হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় – অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে না, ফলে সবসময় ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে।

কীভাবে সতর্ক হবেন?

১. রক্ত পরীক্ষা করুন – হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিশ্চিতভাবে জানতে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এটি ধরা পড়ে।

২. আয়রন যুক্ত খাবার খান – হিমোগ্লোবিন তৈরির মূল উপাদান হলো আয়রন। তাই খাদ্যতালিকায় লোহাযুক্ত খাবার যেমন—পালং শাক, বিট, কলিজা, ডাল, ছোলা, তিল, গুড় ও ড্রাই ফ্রুটস রাখুন।

৩. ভিটামিন সি খান – আয়রন ভালোভাবে শোষিত হতে ভিটামিন সি দরকার। তাই লেবু, কমলা, টমেটো, পেয়ারা ইত্যাদি ফল খেতে হবে।

৪ ফোলেট ও ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার –ফোলেট ও ভিটামিন বি-১২ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। এজন্য ডিম, মাছ, দুধ, কলা ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।

৫. চা-কফি কম পান করুন –চা বা কফির ট্যানিন শরীরে আয়রন শোষণ বাধাগ্রস্ত করে। তাই খাবারের পরপরই চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

সূত্র_tv9bangla