কিংবদন্তি নেত্রী বিপ্লবী ইলামিত্রের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

নাচোলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তে-ভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেত্রী বিপ্লবী ইলামিত্রের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

কিংবদন্তি নেত্রী বিপ্লবী ইলামিত্রের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তে-ভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেত্রী বিপ্লবী ইলামিত্রের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শুক্রবার ইলামিত্র সংসদ’র আয়োজনে উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া পঞ্চানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বিভিন্ন আয়োজন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমনুরা থেকে নাচোল প্রবেশ মেইন রাস্তায় রইলামিত্র গেটে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। দুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অতিথিদের জন্য কাঙালী ভোজেরও আয়োজন করা হয়। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। সূচনা বক্তব্য দেন ইলা মিত্র সংসদ’র সভাপতি শ্রী বিধান শিং।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জান্নাতুন নাঈম মুন্নি, জেলা সিপিবি নেতা ইসরাইল সেন্টু, নেজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শ্রী নিতাই চন্দ্র বর্মন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম।

এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

যশোরের বাগুটিয়া গ্রামে আদি নিবাস হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। কলকাতা থেকে লেখাপাড়া শেষ করে তিনি ১৯৪৫ খ্রি. চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে আসেন রমেন মিত্রের বধু হিসেবে। ১৯৪৭-৫০ খ্রিঃ নাচোলে তেভাগা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। পুলিশ ও সেনারা এই বিদ্রোহ দমন করে। তিনি পালানোর সময় বন্দী হন ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ভারতে চলে যান এবং সেখানেই থেকে যান। ৭৭ বছর বয়সে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।