চাঁপাই প্রেস-এ সংবাদ প্রকাশের পর মহানন্দায় বালু উত্তোলনের ঘটনা তদন্তে আদালতের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অনলাইন গণমাধ্যম দৈনিক চাঁপাই প্রেস-এ সংবাদ প্রকাশ হলে তা আমলে নিয়ে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) স্বপ্রণোদিত হয়ে এই নির্দেশ দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম। অপরাধসমূহের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সদর থানা পুলিশকে। আগামী ১০ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদেশে।

আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে,গত ২৪ জানুয়ারি চাঁপাই প্রেস অনলাইন নিউজ পোর্টালে "চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে মহানন্দা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন" শিরোনামের একটি সংবাদ আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টিগোচর হয়। সংবাদটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মহানন্দা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাশে নির্মাণাধীন পর্যটন কেন্দ্রে অর্থের বিনিময়ে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে দুই পাড়ে থাকা হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি ও দ্বিতীয় মহানন্দা সেতু।

ওই বর্ণনা অনুসারে স্থানীয় জনগণের কথা চিন্তা করে ও নদী সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবে ফৌজদারি কার্যবিধি বিধান অনুসারে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে নেন। এভাবে অবৈধভাবে মাটি-বালু উত্তোলন বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ ও ৫ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বৎসরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড। এছাড়াও কৃষি জমি নষ্ট করে বালু পরিবহনের রাস্তা বানানোর ফলে দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রতীয়মান হয়,যার শাস্তি ২ বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করা প্রয়োজন এবং তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা প্রয়োজন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামিদের শনাক্তকরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুত করবেন এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করবেন। এছাড়াও অবৈধ মাটি উত্তোলন করতে গিয়ে আরও কোনো আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে তাও তদন্তের মাধ্যমে নিরূপণ করবেন। সার্বিক বিবেচনায় উক্ত অপরাধসমূহ তদন্ত করার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।