শিবগঞ্জ পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু
শিবগঞ্জ পৌরসভায় পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা ও বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা ও বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত রবিবার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও মাটি অর্গানিক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিবগঞ্জ পৌরসভার পিঠালীতলা মাঠের একান্নবিঘা এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ফিক্যাল স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। পৌরবাসীর সকল বর্জ্য সংগ্রহ করে প্ল্যান্টে নেয়া হবে এবং সেখানে বাছাই করে পচনশীল বর্জ্য শোধন করা হবে। এর মাধ্যমে তৈরি হবে জৈব সার। এছাড়া প্লাস্টিক-জাতীয় বর্জ্য থেকে টাইলস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।
ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় রাখার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন- প্রতিদিন পৌরসভার পক্ষ থেকে জমানো বর্জ্য অপসারণ করে প্ল্যান্টে নেয়া হবে। তিনি বলেন- সকলের সহযোগিতায় সারাদেশের মধ্যে শিবগঞ্জ পৌরসভাকে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মডেল ও ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মাটি অর্গানিক লিমিটেড ও শিবগঞ্জ পৌরসভার যৌথ আয়োজনে গত রবিবার সকালে শিবগঞ্জ পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন মেয়র সৈয়দ মনিরুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন- ‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প (জিওবি-আইডিবি)’র প্রকল্প পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী, উপ-প্রকল্প পরিচালক শিশির কুমার বিশ্বাস, মাটি অর্গানিক লিমিটেডের খাইরুল আলম ভুঁইয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার সরকার, নেদারল্যান্ডসের এসএনডি বিজনেস অ্যাডভাইজার তানভীর আহমেদ চৌধুরী, সুইস কন্টাক্টের এলইডি কো-অর্ডিনেটর নাহিদ সুলতানা বর্ষা।
পরে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে মাটি অর্গানিক লিমিটেডে ও শিবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প (জিওবি-আইডিবি)’ এর অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।