চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত ও আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় নেতৃত্বের অদম্য দৃষ্টান্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) সাফল্যের নজির স্থাপন করে চলেছে। এই ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে থাকা অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামান,পিএসসি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত ও আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় নেতৃত্বের অদম্য দৃষ্টান্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান

নিজস্ব প্রতিবেদন:সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) সাফল্যের নজির স্থাপন করে চলেছে। এই ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে থাকা অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামান,পিএসসি,তার দক্ষ নেতৃত্ব,দৃঢ় মনোভাব ও অনুপ্রেরণাদায়ক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামান সীমান্ত সুরক্ষার গুরুত্বকে শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়,বরং দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার এক মহৎ দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। তার মতে, “সীমান্ত সুরক্ষার কাজ শুধু অবৈধ পণ্য আটকানো নয়, এটি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার একটি প্রতিশ্রুতি। মাদক চোরাচালান কেবল সীমান্তের সমস্যা নয়, এটি জাতীয় সংকট। এই সমস্যার সমাধানে বিজিবি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং প্রতিটি সদস্যের ত্যাগ ও পরিশ্রমই আমাদের শক্তি।”

তার নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত বিশেষ টহল পরিচালিত হয়,যা মাদক,অস্ত্র এবং অন্যান্য চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান ৫৩ বিজিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্মরত সকল সদস্যদের মনোবল বাড়াতে এবং সীমান্ত এলাকার জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। তার নেতৃত্বে সীমান্তে প্রতিটি অভিযান পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়, যেখানে তথ্যভিত্তিক কৌশল এবং টিমওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সফলতা অর্জিত হয়।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান মাদকবিরোধী লড়াইকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করেন। তিনি বলেন,“মাদক শুধুমাত্র একটি জাতিকে দুর্বল করে না,এটি পরিবার,সমাজ এবং দেশের ভিত্তি ধ্বংস করে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে বিজিবি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি এবং এই নীতি বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দিচ্ছি না। দেশের মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখে,আর আমরা সেই আস্থা রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামানের নেতৃত্বে ৫৩ বিজিবি ধারাবাহিকভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সফল অভিযান পরিচালনা করছে। তার উদ্যোগে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ টহল জোরদার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র এবং অন্যান্য চোরাচালান আটক করার মাধ্যমে বিজিবি স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান নিশ্চিত করেন যে, প্রতিটি অভিযান স্বচ্ছ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত।

স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিজিবির সম্পর্ক উন্নয়নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মাদক এবং চোরাচালান প্রতিরোধে জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

তিনি বলেন,এই লড়াই কেবল ৫৩ বিজিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়, এটি পুরো জেলা ও পুরো জাতির লড়াই। আমরা সীমান্ত এলাকার জনগণের সহযোগিতার মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। জনগণের আস্থা ও সহযোগিতা আমাদের জন্য শক্তির উৎস।”তার নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ বিজিবি’র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মনির-উজ-জামানের নেতৃত্বে ৫৩ বিজিবি চাঁপাইনবাবগঞ্জে কেবল মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে নয়, বরং একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত জেলা গড়ে তুলার কাজ করছে। তার নেতৃত্বে পরিচালিত কার্যক্রম সীমান্ত এলাকায় মাদকমুক্ত ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সীমান্তবাসীরা।

সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামানের মতো একজন দক্ষ ও উদ্যমী নেতার উপস্থিতি বিজিবি’র কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করেছে। তার নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে।